কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার টগরাইহাটে স্থাপিত ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র ও রংপুর-তিস্তা-কুড়িগ্রাম সঞ্চালন লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, সাধারণ সস্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন, কুড়িগ্রাম ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদ হোসেনসহ গণমাধ্যমকর্মী, উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কুড়িগ্রাম ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই এ গ্রিড উপকেন্দ্রটি কমিশনিং করে চালু করা হয়। নতুনভাবে গ্রিড উপকেন্দ্রের সঙ্গে রংপুরের তিস্তা থেকে প্রায় ১৭ দশমিক ৩৫৯ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন ও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রটি চালু হওয়ার ফলে ১৫০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন এ কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে পাবেন।
তিনি জানান, এ গ্রিড উপকেন্দ্রটির মাধ্যমে এক লাখ ৩২ হাজার ভোল্টেজকে ৩৩ হাজার ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে জেলার নেসকো ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে সরবরাহ করা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, এ গ্রিড উপকেন্দ্রটি চালুর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পুরণ করলেন এবং পাশাপাশি এখন থেকে গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সুফল ভোগ করবেন।
লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত সাবস্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। এতে করে লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামে সরবরাহ করা লাইনে প্রায়ই ত্রুটি ছাড়াও লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের কারণে বিদ্যুৎ বঞ্চিত হতো এ জেলার মানুষ। নতুন করে কুড়িগ্রাম জেলায় আলাদা গ্রিড উপকেন্দ্র এবং সরাসরি রংপুর থেকে তিস্তা হয়ে গ্রিড উপকেন্দ্রে আলাদা সঞ্চালন লাইন তৈরি হওয়ায় ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে জেলার নেসকো ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গ্রাহকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
এফইএস/ওএইচ/