ঢাকা: বাংলাদেশে নির্মাণাধীন প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) স্টিম জেনারেটর বা বাষ্প তৈরির জেনারেটর জাহাজে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার এইম টেকনোলজির ভলগোদনস্ক কারখানার (রোসাটমের যন্ত্র উৎপাদনকারী শাখা জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশ) থেকে এ জেনারেটর পাঠানে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রোসাটম রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এবং রাশিয়াতে রোসাটমের কারখানায় এ প্রকল্পের যন্ত্রপাতি নির্মাণ হচ্ছে।
রোসাটম জানায়, এ স্টিম জেনারেটর পাঠানোর মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর সুবিধার সবগুলো সরঞ্জাম বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য জাহাজে তোলা শেষ হলো। দুই মাস আগে রিয়্যাক্টর ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লি) সহ এর প্রথম অংশ এসে পৌঁছেছে।
আরও দুইটি স্টিম জেনারেটর সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে জাহাজে পাঠানো হয়েছে। চারটি স্টিম জেনারেটরের শেষেরটিকে কারখানা থেকে স্থানান্তর করে অন্য তিনটি অংশের সঙ্গে জাহাজে তোলা হবে। যার মোট ওজন প্রায় এক হাজার টন। এরপর যন্ত্রাংশগুলো নভোরোসিস্কে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখান থেকে এগুলো ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
স্টিম জেনারেটরগুলোতে প্রথম শ্রেণির নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। এর ব্যাস চার মিটার, দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ মিটার এবং ওজন ৩৪০ টন। এটি সমান্তরাল সিলিন্ডার আকৃতির পাত্র এবং এর দুইটি উপবৃত্তাকার মাথা রয়েছে। এর দুইটি হেডার থাকে। যা স্টিম জেনারেটরগুলোকে ঠাণ্ডা করে। এছাড়া স্টিম জেনারেটরের নিচের অংশে ১১ হাজার স্টেইনলেস টিউবের (প্রায় ১৩০ কিলোমিটার) তৈরি একটি হিট এক্সচেঞ্জ তল থাকে।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা ও নির্মাণ রাশিয়ান পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর দুইটি ইউনিটের প্রত্যেকটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট, অর্থাৎ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন হবে ২৪০০ মেগাওয়াট। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সর্বাধুনিক থ্রি-প্লাস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২০
এসকে/টিএ