ঢাকা: পারমাণবিক প্রযুক্তির অগ্রগতি একবিংশ শতাব্দীতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ দ্রুতই বিদ্যুতের অন্যতম উৎস হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার জাতীয় পারমাণবিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমইপিএইচআই) অবিনস্ক পারমাণবিক শক্তি প্রকৌশল ইনস্টিটিউটের ডেপুটি হেড, বিশেষজ্ঞ আলেকজান্ডার নাখাবভ।
রোববার (২২ নভেম্বর) রোসাটম আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে আলেকজান্ডার নাখাবভ একথা জানান।
তিনি বলেন, পারমাণবিক প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলস্বরূপ একবিংশ শতাব্দীতে অন্য বিদ্যুৎ উৎসগুলোর তুলনায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ দ্রুতই অন্যতম নির্ভরযোগ্য একটি উৎস হয়ে উঠছে।
নাখাবভ সারাবিশ্বে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়নে রাশিয়ার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে যেসব দেশ এই প্রযুক্তিতে নতুন তাদের কথা বলেন। তিনি জেনারেশন থ্রি প্লাস প্রযুক্তির ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টরের নকশা প্রসঙ্গে বলেন, যে যন্ত্রপাতি ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর ইউনিটের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা বুঝতে হবে ইন্টারনাল সেল্ফ প্রটেকশন, প্যাসিভ সেফটি প্রপার্টিজ ও সেফটি ব্যারিয়ারের মাধ্যমে।
মি. নাখাবভের ভাষায় ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যক্টরের বর্ধিত জীবনকাল প্রায় ১০০ বছর।
তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যক্টর বাংলাদেশসহ অন্য দেশের আবহাওয়া, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর উপযোগী করেই প্রস্তুত করা হয়েছে। রাশিয়ার আধুনিক প্রযুক্তির তৈরি পারমাণবিক রিয়্যাক্টরগুলোর বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে কাজ করার অনবদ্য রেকর্ড আছে, এমনকী প্রচণ্ড দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতেও।
পারমাণবিক প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নাখাবভ বলেন, পরবর্তী দশকগুলোতে মহাকাশ গবেষণা ও হাইড্রোজেন প্রস্তুতিতেও পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করা হবে।
থার্মোনিউক্লিয়ার ফিউশন রিয়্যাক্টর প্রসঙ্গে বলেন, এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও এর উন্নয়ন চলছে। এটি অন্য পারমাণবিক রিয়্যাক্টরের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষ কিন্তু এর বাণিজ্যিক ব্যবহারে আরও কয়েক দশক সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এসকে/এএ