ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কান্টিলিভার ট্রাস থেকে রিয়্যাক্টর পিটের নিচের ফ্লোর পর্যন্ত প্রায় ২৬ দশমিক ৩০০ মিটার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
রিয়্যাক্টর কম্পার্টমেন্টের ভেতরের প্রাথমিক সুরক্ষা ও এর সম্পূর্ণ ভার বহন করে রিয়্যাক্টরের কংক্রিটের পিট এ কাজের পরবর্তী ধাপ হলো ২৬ দশমিক ৩০০ মিটার উচ্চতায় ফ্লোর নির্মানণ সম্পন্ন করা।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এএসই ইসি জেএসসির ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই লাস্টোস্কিন বলেন, ২০২০ সালের নির্মাণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সব সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নির্মাণে নিয়োজিত কোম্পানি ট্রেস্ট রোজেম এলএলসির কর্মীরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ এর কান্টিলিভার ট্রাস থেকে রিয়্যাক্টর পিটের নিচের ফ্লোর পর্যন্ত প্রায় ২৬ দশমিক ৩০০ মিটার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করেছে। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ঠিকভাবেই অগ্রসর হচ্ছে।
এরপর পরবর্তী ২৬ দশমিক ৩০০ মিটার শেষ হলেই বিশেষজ্ঞরা নকশা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে রিয়্যাক্টর ভেসেলসহ অন্য ভারী যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে পারবে।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি ও নকশা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মিত হচ্ছে। এই নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (রোসাটমের প্রকৌশল শাখা)। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যক্টর। এই মডেলের রিয়্যাক্টর নভোভোরোনেঝ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি ইউনিটে সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই ধরনের রিয়্যাক্টরগুলো জেনারেশন থ্রি প্লাস এবং সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান অনুযায়ী নির্মিত। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি এজেন্সি (আইএইএ) ও ন্যাশনাল রেগুলেটরি অথরিটি বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রত্যেকটি ধাপ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
এসকে/এএ