ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পরমাণু শক্তিচালিত জাহাজে রূপপুরের যন্ত্রপাতি বহন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
পরমাণু শক্তিচালিত জাহাজে রূপপুরের যন্ত্রপাতি বহন

ঢাকা:  রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ১৪শ টন পরিমাণের যন্ত্রপাতি পরিবহনে পরমাণু শক্তিচালিত একটি জাহাজ ব্যাবহার করা হয়েছে ৷ এ জাহাজটি পুরু বরফ স্তর অতিক্রম করেছে, যার মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে রাশিয়া।

বুধবার(৮ ডিসেম্বর) রোসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷

‘সেভমোরপুত’ নামে এ জাহাজটি স্টিল কাঠামো ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ভ্লাদিভস্তকের নাখোদকা বন্দরে পৌঁছায়।

উত্তর সমুদ্রপথের (নর্দার্ন সি-রুট) পুরু বরফ স্তর অতিক্রম করে গন্তব্যে পৌঁছাতে জাহাজটির সময় লেগেছে ২২দিন। নাখোদকা বন্দর থেকে অন্য একটি জাহাজে চালানটি বাংলাদেশে পৌঁছাবে। রাশিয়ার প্রযুক্তি ও কারিগরি সহযোগিতায় রূপপুরে বাস্তবায়নাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতিও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ায়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রোসাটমের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান এটমফ্লোটের ফার্স্ট ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিওনিদ ইরলিস্তা জানান, ‘কোন কোন স্থানে বরফের স্তর যথেষ্ট পুরু ছিল। তবে, জাহাজটির অসাধারণ কার্যক্ষমতা ও ক্রুদের দক্ষতার কারণে আমরা কোন বিলম্ব ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছি’।

উত্তর সমুদ্রপথ নিয়ে রাশিয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা রয়েছে এবং ২০২৪ সাল নাগাদ এই রুটে ৮ কোটি টন মালামাল পরিবহনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটি। ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমের কোনো সমুদ্র বন্দর থেকে উত্তর সমুদ্রপথ ব্যাবহার করে দূরপ্রাচ্যে পৌঁছাতে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় তা সুয়েজ খাল ব্যাবহারের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ কম।

রাশিয়ার জালিভ শিপ-ইয়ার্ডে তৈরির পর ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরমাণু শক্তিচালিত সেভমোরপুত মালবাহী জাহাজটি তার কার্যক্রম শুরু করে। কেএলটি-৪০ পারমাণবিক রিয়্যাক্টর সমৃদ্ধ জাহাজটি অন্য কারো সহযোগিতা ছাড়াই এক মিটার পর্যন্ত পুরু বরফ স্তর অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, এটমফ্লোট বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা পরমাণু শক্তিচালিত আইস-ব্রেকার ও কার্গো জাহাজ পরিচালনা করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২১
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।