ঢাকা: ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটম জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) রোসাটম এক বার্তায় আরও জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ও কাজের সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন হবে না। এখানে তৈরি হবে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ভিভিআর-প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টরের দু’টি ইউনিট। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরই প্রথম ইউনিট চালু হবে। এটি দেশের প্রথম পারমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, যা রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণ হচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয় বলছে, গত অক্টোবরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল অংশ রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতেই চলছে।
সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আর দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে ২০২৪ সালে। সামরিক অভিযানের কারণে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। অনেকের শঙ্কা, এতে আর্থিকভাবে বেশ চাপে পড়তে পারে রাশিয়া। এছাড়া রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে বিনিয়োগ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে অভিযান দীর্ঘমেয়াদি হলে তার প্রভাব বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের ওপরও পড়তে পারে।
রাশিয়ার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপরই ইউক্রেনের দক্ষিণে সামরিক অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েন আগেই প্রস্তুত থাকা রুশ সেনারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২২
এসকে/এসআই