ঢাকা: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবেই গ্যাসের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জিং এরিয়াগুলো যখন যেটা সামনে আসবে কীভাবে তা মোকাবিলা করব সে ধরনের পথ তৈরি করতে হবে।
বুধবার (২৩ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কি রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, অবশ্যই এটি যুদ্ধের প্রভাব। সিপিডির বক্তব্য আমরা জানি। আমাদের মনিটরিংয়ে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা সিপিডির সিস্টেমে। আশেপাশে আমাদের যেসব দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রতিটি দেশের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি মিলিয়ে দেখুন। অর্থনীতি সিপিডি ছাড়া কেউ বুঝে না সেটা নয়। সিপিডির দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান আছে। সেটি আমি অস্বীকার করি না। আমি মনে করি তারা তাদের মতো করে চিন্তা করেন। কখন কি করতে হবে সেটা বুঝতে হবে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, আপনি (সাংবাদিক) আমার জায়গায় হলে কি করতেন? আপনি যা করতেন আমি তাই করব। ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ হবে সেটা কি কখনো ভেবেছি আমরা। অর্থনীতি এমনই। যেমনি সারটেইন সিচ্যুয়েশন আছে, তেমনি আনসারটেইন সিচ্যুয়েশনও আছে। চ্যালেঞ্জিং এরিয়াগুলো যখন যেটা সামনে আসবে কীভাবে তা মোকাবিলা করব সে ধরনের পথ তৈরি করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, আসন্ন বাজেটে কেউ লুজার নেই। সবাই জিতবে, যারা ব্যবসায়ী তারা আরও মনোযোগী হবে। তাদের সহযোগিতার জন্য আপনারা সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আমাদের অবকাঠামো হয়ে গেছে, আমাদের মানুষ এখন আগের তুলনায় শিক্ষিত, তারা যেকোনো প্রকল্প দাঁড় করাতে পারে। সেজন্য আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কাজ হবে যারা ব্যবসায়ী তাদের সহযোগিতা করা। সরকারের যেসব পলিসি সেগুলোর সাপোর্ট দিয়ে তাদের আরও সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একদিকে তারা আয় করবে অন্যদিকে তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। যেসব প্রকল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি তাদের আমরা সুযোগ-সুবিধা বেশি দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস