ঢাকা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। রাশিয়ার এইএম-টেকনোলোজিসের পেত্রোজাভোদস্ক কারখানায় এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য এরই মধ্যে নির্মিত হাইড্রো-অ্যাকুমুলেটরের বডির ভেতর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) রূপপুর প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশনের (রোসাটম) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে রোসাটম জানায়, হাইড্রো-অ্যাকুমুলেটর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘স্বয়ংক্রিয় (প্যাসিভ) কোর- ফ্লাডিং সিস্টেম’ এর একটি অংশ। রূপপুর প্রকল্পের প্রতিটি ইউনিটে থাকবে ৮টি হাইড্রো-অ্যাকুমুলেটর। স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি প্রতিটি অ্যাকুমুলেটরের ধারণ ক্ষমতা ১২০ কিউবিক মিটার। প্রতিটির ভেতরে স্থাপিত হবে রক্ষণাবেক্ষণ প্লাটফর্ম, মইসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
‘স্বয়ংক্রিয় (প্যাসিভ) কোর- ফ্লাডিং সিস্টেম’ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দ্বিতীয় ধাপ। জরুরি অবস্থায় রিয়্যাক্টরের প্রাইমারি সার্কিটের কুল্যান্টে (শীতলকারী পদার্থ) জমে থাকা তাপ অপসারণই এর উদ্দেশ্য। প্রকল্প চলাকালীন হাইড্রো-অ্যাকুমুলেটর প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরিক এসিড দ্রবণ দ্বারা পূর্ণ থাকে। যদি কোনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে প্রাইমারি সার্কিটের ভেতরে চাপ কমতে শুরু করে এবং একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নেমে আসে, তখনই হাইড্রো-অ্যাকুমুলেটরে জমা থাকা বরিক এসিড দ্রবণ স্বয়ংক্রিয় ভাবে রিয়্যাক্টরের অ্যাক্টিভ কোরে প্রবেশ করে এবং অতিরিক্ত তাপ শোষণ করতে থাকে।
রুশ নকশায় নির্মীয়মান রূপপুর এনপিপির জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করছে রোসাটমের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপিত হবে। ১ হাজার ২০০ মেগা-ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রিয়্যাক্টরগুলোর মেয়াদ ৬০ বছর হলেও তা পরবর্তীতে আরও ২০ বছর বাড়ানো সম্ভব। রূপপুর প্রকল্পের উভয় ইউনিটের রিয়্যাক্টর হলের জন্য মূল যন্ত্রপাতি তৈরি করছে রুশ প্রতিষ্ঠান এইএম-টেকনোলোজিস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এসকে/এমএমজেড