সিরাজগঞ্জ: সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিডিউল মোতাবেক লোডশেডিং দিতে পারছে না নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। বিদ্যুৎ ব্যবহারের তারতম্যের কারণে লোডশেডিংও কমবেশি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ও ২০ জুলাই সকাল থেকেই সিডিউল মোতাবেক বিদ্যুৎ সঞ্চালন দিতে পারেনি নেসকো লিমিটেড সিরাজগঞ্জ-১ ও সিরাজগঞ্জ-২ বিভাগ।
১৯ জুলাইয়ের লোডশেডিংয়ের চিত্র কেমন ছিল, তা সিরাজগঞ্জ নেসকো লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই সিডিউল মোতাবেক বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। সে মোতাবেক সিরাজগঞ্জ নেসকো লিমিটেডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর আওতাধীন বাহিরগোলা ৩৩/১১ কেভি অঞ্চলে সকাল ১০ থেকে ১১টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেওয়ার কথা। কিন্তু সে সময় গ্রিডের অবস্থা ভালো থাকায় লোডশেড হয়নি। আবার একই অঞ্চলে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লোডশেডিং হওয়ার কথা। কিন্তু ১টা ২১ মিনিটে ফিকোয়েন্সি লো থাকায় লোড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার (এলডিসি) থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার ১টা ৩৬ মিনিটে চালু হয়। আবার একই কারণে এলডিসি ২টা ১০ মিনিটে বন্ধ করে ২টা ২৫ মিনিটে চালু করা হয়।
এদিকে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিও সিডিউল মোতাবেক বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু চাহিদা ও উৎপাদন কমবেশি হওয়ার কারণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও সিডিউলের বাইরে ওঠানামা করাতে হচ্ছে।
নেসকো লিমিটেড সিরাজগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ বলেন, সিরাজগঞ্জ-১ ও সিরাজগঞ্জ-২ দুটি বিভাগে যথাক্রমে ১.৫ এবং ২.৫ মোট ৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং দেওয়ার কথা। আমরা একটা সিডিউল করে দিয়েছি। কিন্তু সিডিউল মোতাবেক লোডশেডিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সিরাজগঞ্জ-১ এর আওতায় ৮টি ফিডারে বিদ্যুতের চাহিদা ১২ মেগাওয়াট। লোডশেড দেওয়ার কথা ১. ৫ মেগাওয়াট।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও ব্যবহারের ওপর অনেকটা লোডশেডিং নির্ভর করে। সে কারণেই কখনো লোড বাড়ে সেটা বলা যায় না। ফিকোয়েন্সি কমবেশির কারণেও লোডশেডিং করতে হয়। আবার হঠাৎ করে অতিরিক্ত লোড পড়ে গেলেও এলডিসি থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অপরদিকে নেসকো লিমিটেড সিরাজগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অশীথ পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, তার আওতাধীন ১২টি ফিডারে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১১ মেগাওয়াট। সেখানে তাকে ২.৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা থাকলেও ৪.৮ মেগাওয়াট সরবরাহ দিচ্ছেন বলে জানান। তারপরও লাইন কেটে দেওয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার অখিল কুমার পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, তিনি চেষ্টা করছেন সিডিউল মোতাবেক বিদ্যুৎ দিতে। চাহিদার শতকরা ১০ ভাগ লোডশেডিং দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় ৬৩ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে তিনি গ্রিড থেকে ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
এসআই