ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুর-রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় ২ জাহাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২২
রূপপুর-রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় ২ জাহাজ

বাগেরহাট: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মত রাশিয়া থেকে মালামাল নিয়ে একটি জাহাজ মোংলায় পৌঁছেছে।

শুক্রবার (০৫ আগস্ট) বিকেলে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি ড্রাগনবল রূপপূর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন মেশিনারিজ নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে।

জাহাজটি বন্দরের রহারবারিয়ার ৭ নম্বর বয়ায় নোঙর করেছে।  

সন্ধ্যা নাগাদ জাহাজটি বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙর করার কথা রয়েছে। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সোমবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪টায় প্রথমবারের মতো পণ্য নিয়ে একটি রাশিয়ান জাহাজ মোংলা সমুদ্র বন্দরে এসেছিল। জাহাজটিতে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্রের ৩৩২৮ দশমিক ২৩৭ মেট্রিক টন মেশিনারিজ ছিল।

অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রথমবারের মতো  রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আকিজ হেরিটেজ’। সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া-১১ নম্বর বয়ায় অবস্থান করার কথা রয়েছে।  

গত ২০ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তানজুম ক্যাম্ফা বন্দর থেকে ছেড়ে আাসা জাহাজটি ৫৪ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। সেখান থেকে ১৮ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন কয়লা চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস করে তিনটি লাইটার জাহাজে করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পাঠানো হয়। লাইটার জাহাজ তিনটি বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বিকেলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নোঙর করেছে বলে জানিয়েছেন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আনোয়ারুল আজীম।

তিনি বলেন, কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়েছে। এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি কয়লা আসবে।
মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন,  প্রথমবারের মতো রামপাল পাওয়ার প্লান্টের জ্বালানি কয়লা আমদানি করা হয়েছে। এই কয়লা মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। এই দিনে রাশিয়া থেকে আমদানি করা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশকিছু মেশিনারিজ নিয়ে মোংলা বন্দরে এসেছে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি ড্রাগনবল। এটা আমাদের জন্য একটি সুখবর, এটা যুগের সাক্ষী হয়ে থাকবে মোংলা বন্দরের জন্য। কারণ একদিনে দেশে চলমান দুটি মেগা প্রকল্পের সামগ্রী এলো মোংলা বন্দর দিয়ে। আশাকরি ভবিষ্যতেও মোংলা বন্দর দিয়ে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা সামগ্রী আসবে।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৭০০ মেট্রিক টন মেশিনারিজ পণ্য নিয়ে রাশিয়ান জাহাজ ‘এমভি পেসকোয়ালিস’ মোংলা বন্দরে ভিড়েছিল। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। সেটি এখনও চলমান রয়েছে।

১৩২০ মেগা ওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), বাগেরহাট নামের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রামপাল উপজেলার সাপমারি এলাকায় অবস্থিত। ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। ২০১০ সালে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক শুরু হয় নির্মাণকাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে মোট ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এখান থেকে দুই ইউনিটে ৬৬০ মেগা ওয়াট করে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।