ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ আমরা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। এ সময়ের মধ্যে ৬১৮ এমএমসিএফটি গ্যাস আমরা পাবো বলে আশা করি।
রোববার (১৪ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা: অস্থির বিশ্ববাজার’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি সচিব বলেন, প্রথম দিকে আমরা দ্রুত গ্যাস পেয়েছি। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা ভালো ফলাফল পাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র থেকে নতুন উত্তোলন ও ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে এলএনজির ওপরে আমাদের কিছু নির্ভরতা থাকবেই। কিন্তু তার পরিমাণ কত হবে, সেটা নির্ভর করবে গ্যাস উত্তোলনের ওপর।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ভোলার গ্যাস যেন আমরা উত্তোলন করে আনতে পারি, সে পরিকল্পনা হচ্ছে। ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে এক হাজার এমএমসিএফটি গ্যাস আমরা জাতীয় পর্যায়ে যুক্ত করতে পারবো, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্র আমাদের যে গ্যাস দেবে, সেটা তোলার সক্ষমতা বাপেক্সের নেই। বাইরের কোম্পানিকে দিয়ে উত্তোলন করতে হবে। তারা তো উত্তোলনে গেলেই দেখে, যেখানে তারা উত্তোলন করবে সেখানে তাদের কতটা লাভ হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্যাস উত্তোলন প্রসঙ্গে বলেন, জ্বালানি বিভাগে বিশিষ্ট ভূ-তত্ত্ববিদরা কাজ করছেন। তারা কেউ বলেছেন গ্যাস নেই, আবার কেউ বলছেন আছে। বিশেষজ্ঞদের কথাতেই তো আমরা সিদ্ধান্ত নিই।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে তিনটি কোম্পানিকে কাজ দিয়েছি। মিয়ানমারে যারা কাজ করেছে, তাদেরও কাজ দিয়েছি। যেসব কোম্পানি আছে, তারা যদি গ্যাস উত্তোলনে নিজেদের লাভ দেখে, তবেই তারা উত্তোলন করবে। তারপর আমাদের কাছে বিক্রি করবে। তারা যদি বলে উত্তোলন করে লাভ নেই। তাহলে আমাদের কী করার আছে? সরকার কেন চাইবে না গ্যাস উত্তোলন করতে, অবশ্যই চাইবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। এছাড়া পেট্রোবাংলা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২২
এনবি/এমজেএফ