নরসিংদী: জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচ নম্বর ইউনিটটি চার দিন পরেও চালু হয়নি।
আগামী সোমবার (১০ অক্টোবর) পুনরায় পাঁচ নম্বর ইউনিটটির উৎপাদনের জন্য চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিলে হঠাৎ করে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চার ও পাঁচ নম্বর ইউনিট দুটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে এক ঘণ্টার মধ্যে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চার নম্বর ইউনিটটি চালু করা গেলেও ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ নম্বর ইউনিটটি চালু করা যায়নি।
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিটের কন্ট্রোল রুম সূত্র থেকে জানা যায়, ইউনিট চলার জন্য মেটাল টেম্পারেচার থেকে রোটর টেম্পারেচারের মিনিমাম ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম বেশ থাকতে হয় তা না হলে টারবাইনে সমস্যা দেখা দেয়। হঠাৎ করে কোনো ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে সেটি তাৎক্ষণিক চালু করা না গেলে টেম্পারেচারের মাত্রা ঠিক করতে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন সময় নিতে হয়। বুধবার ইউনিটটিতে পাওয়ার দেওয়ার পর লোড দেওয়ার সময় দুটি টেম্পারেচার সমপরিমাণ থাকায় তা আর চালু করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ৫ নম্বর ইউনিটটির সেফটি বাল্ব ফেটে যাওয়ায় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ইউনিটটি চালু করতে প্রকৌশলীরা কাজ করছেন।
এদিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে বুধবার ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) তদন্ত কমিটির ছয় সদস্য। পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণকক্ষ প্রায় তিন ঘণ্টা পরিদর্শন করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২২
আরএ