মেহেরপুর: যত্রতত্র বিদ্যুতের খোলা তারে মেহেরপুর শহর যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জনবহল শহরে বাড়ির ছাদ বা জানালা বা বেলকুনির মাঝ দিয়ে চলে গেছে খোলা তার।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহব্বত আলী বলেন, আমি চুলকানির মোড়ে বাড়ি নির্মাণ করছি। দোতালার বেলকুনির মাঝ দিয়ে বিদ্যুতের ৩৩ হাজার ভোল্টের তার চলে গেছে। কয়েকদিন আগে আমি বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করি। কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। তারা তার সরানোর জন্য কিছু টাকাও দাবি করেছিল। আমি দিতেও চেয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে রাজু আহম্মেদ নামে এক নির্মাণ শ্রমিককে বিদ্যুতে টেনে নেয়। পরে বাঁশ দিয়ে তাকে সেখান থেকে ছাড়ানো হয়। কোনো মতে প্রাণে বাঁচে ওই নির্মাণ শ্রমিক।
তিনি বলেন, আমি বিদ্যুতের তারের কারণে চরম আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমার বাড়ি নির্মাণ হলেও শুধুমাত্র বিদ্যুতের ঝুঁকির কারণে সেখানে বসবাস করা আমার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
নতুনপাড়ার বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, আমার ভাই দুলাল হোসেনের বাড়ির ছাদের উপর বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইন চলে গেছে। ছাদের উপর আমাদের পরিবারের কোনো লোকজন উঠতে পারেন না। কখনো কখনো শিশুরা ছাদের উপর চলে যায়। এনিয়ে পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকি আমারা।
একই এলাকার ফয়জেল মিস্ত্রি বলেন, আমার বাড়ির ছাদের উপর বিদ্যুতের খোলা তার ঝুলছে দীর্ঘদিন। আমি বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের দাবি ৪০ হাজার টাকা। সে টাকা দিলে খুঁটি সরিয়ে নেবে। কিন্তু আমার তো টাকা নেই। তাই মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই এ বাড়িতে বসবাস করছি।
মেহেরপুর পিডিপির নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শহরের বাসিন্দারা বিদ্যুতের তারের মধ্যে এসে বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হলে লাইন নির্মাণ করতে হবে। আমরা সব সময় জনগণকে বিদ্যুৎ লাইন থেকে একটু দূরে বিল্ডিং নির্মাণের পরামর্শ দিয়ে থাকি। কিন্তু তারা বিল্ডিং কোড না মেনেই তাদের বাড়ি ঘর নির্মাণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
জেএইচ