ঢাকা: ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দিবসটি স্মরণ এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনান ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম ও মিনিস্টার (পলিটিক্যাল-২) মো. রাশেদুজ্জামান। পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসী শাহরিয়ার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম ও মহান আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ফেরদৌসী শাহরিয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। কিন্তু মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পূর্ণতা পায়।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ‘সোনার বাংলা’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার অনুরোধ জানান।
বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল-১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
প্রসঙ্গত, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
টিআর/আরআইএস