ঢাকা: লিবিয়ায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) এ উপলক্ষে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মিনিস্টার (শ্রম) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন, সাহিত্যকর্ম, সংস্কৃতি এবং সমাজে তাদের অবদান ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাংলা সাহিত্যের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাদের অবদান কেবল সাহিত্য ও শিল্পকে সমৃদ্ধ করেনি, বরং আমাদের জাতীয় চেতনা ও চিন্তাধারাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ যেখানে শিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের কথা বলেছেন, সেখানে নজরুল তার কলমকে শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। রাষ্ট্রদূত তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের এ দুই কবির সাহিত্য ও শিল্পকর্ম আরও গভীরভাবে চর্চা করতে অনুপ্রাণিত করেন।
অনুষ্ঠানমালার পরবর্তী পর্যায়ে ত্রিপলীস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য এবং আবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের শিল্পকর্ম তুলে ধরেন। রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ত্রিপলিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা তাদের পরিবার-পরিজনসহ অংশগ্রহণ করেন।
টিআর/জেএইচ