ঢাকা: কানাডার আলবার্টা প্রদেশের এডমন্টনে প্রতিবছরের মতো এবারও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বজনীন দুর্গাপূজা।
এ পুজা উৎসবকে ঘিরে চলছে নানা আয়োজন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে পূজা উদযাপনে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে এডমন্টনে বাঙালি কমিউনিটিতে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব এডমন্টন প্রতিবছরই পুজোত্তর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, শরৎকালের সাদা কাশফুল, মেঘ ও স্বচ্ছতোয়া নদী হয়ে মর্ত্যে আগমন করেছিলেন দেবী দুর্গা। শুক্লপক্ষে ভক্তের অকাল বোধনে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, কলা-বৌ এবং মাথার ওপর শিবকে নিয়ে আগমন করেন পুজামণ্ডপে। সঙ্গে থাকে অসুর, কার্তিকের বাহন ময়ূর, দুর্গার বাহন সিংহ, লক্ষ্মীর পেঁচা, গণেশের ইঁদুর এবং সরস্বতীর বাহন শ্বেতহংস।
ঐতিহাসিকদের মতে, সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৬) রাজত্বকালে বাংলায় মহাধুমধামে ও জাঁকজমকের সঙ্গে দুর্গাপূজার প্রচলন করেন রাজশাহী জেলার তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ণ। রাজসিক বলে খ্যাত দুর্গাপূজা মূলতঃ রাজা, জমিদার এবং সচ্ছল পরিবারেই মধ্যেই উদপানের প্রচলন ছিল। আয়োজকও ছিলেন সামর্থবান মানুষেরা। গ্রামের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেতে উঠতেন আনন্দ উৎসবে।
দেবী দুর্গাকে দুর্গতিনাশিনী বলে মনে করা হয়। সব অশুভ শক্তি বিনাশ করে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠার মূর্ত প্রতীক দশভুজা দুর্গাদেবী।
সনাতন ধর্মালম্বীরা মনে করেন, আজও অশুভ শক্তি বিরাজমান সর্বত্র। কালের বিবর্তনে এর রূপ হয়তো ভিন্ন হতে ভিন্নতর হয়েছে। এ অশুভ শক্তি বিনাশে ঐক্যের প্রেরণায় একত্রিত হবার আহবান নিয়ে আসে দুর্গাপূজা। সংঘ গড়ে তুলতে প্রেরণা নিয়ে এবং এ সংঘ-শক্তির মাধ্যমে অসুরকে পরাজিত করতে উৎসাহ যোগায়। এ বিশ্বাসেই প্রতিবছর বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় আকাল বোধনে দশভুজা দেবী দুর্গার আরাধনা করেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এডমন্টনের বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সবাইকে, বিশেষত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৬
এইচএ/