ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়ায় ৭ বছর পর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  

শায়মা জাহান তিথি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
যুদ্ধ বিধ্বস্ত লিবিয়ায় ৭ বছর পর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা     ছবি- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

লিবিয়া থেকে: অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিগত সাত বছর ধরে লিবিয়ায় কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়নি। তবে সাত বছর পর ২৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) লিবিয়ার ত্রিপলীর বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয়েছিল স্কুল ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান-২০১৬।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল শাহিদুল হক এবং তার স্ত্রী।  

এছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) আ স ম আশরাফুল ইসলাম, প্রথম সচিব (শ্রম) ও বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের সভাপতি আলম মোস্তফা, স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবউদ্দীন, কার্যকরী পরিষদের সদস্য প্রকৌশলী দারুল ইসলাম, আমির হোসেন, প্রকৌশলী শাহজালাল, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয় বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপরই শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত এবং তার স্ত্রী।

এর পরপরই শুরু হয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ইভেন্ট।  

ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক পৃথক দৌড় প্রতিযোগিতা, বিস্কিট দৌড়, অংক দৌড়, বেলুন ফোটানো, লং জাম্প, মোরগ লড়াই, মার্বেল দৌড়, হাড়ি ভাঙ্গা, মিউজিক্যাল চেয়ার এবং একটি জমজমাট ফুটবল ম্যাচ।

ইনডোর গেম হিসেবে ছিল দাবা এবং ক্যারাম। এছাড়াও ছিল অভিভাবকদের অংশগ্রহণে দঁড়ি টানাটানি খেলা এবং অভিভাবিকাদের জন্যে পিলোপাসিং খেলা। পুরো অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি ইভেন্ট ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজ’।

খেলার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন সাইফুল ইসলাম টিপু। প্রতিটি খেলার দায়িত্বে পালাক্রমে ছিলেন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক কামরুল হাসান, মো. আয়াছ, নুরুল ইসলাম, আবুল কাশেম মো. আব্দুল্লাহ, ইয়াসিন রহমত আলী, এবং শিক্ষিকা নার্গিস আরা রেখা ও শায়মা জাহান তিথি।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা। উপস্থাপনা করেন জাবের আল-মাহমুদ, শায়মা জাহান তিথি এবং তালহা মোহাম্মেদ।  

পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অধ্যক্ষ শাহাবউদ্দীন।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী মেডেল পরিয়ে দেন।

সবশেষে রাষ্ট্রদূত আয়োজক কমিটি, বাস্তবায়ন কমিটি এবং অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

লিবিয়ায় চলমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিগত সাত বছর ধরে কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।  

পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন না ঘটলেও দীর্ঘদিন পর এমন একটি আয়োজন করতে সক্ষম হয়ে আনন্দে উদ্বেলিত ত্রিপলীর বাংলাদেশ কমিউনিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।