ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

সাংবাদিক, খেলোয়াড়, শিল্পীরাও স্থায়ী হতে পারেন কানাডায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
সাংবাদিক, খেলোয়াড়, শিল্পীরাও স্থায়ী হতে পারেন কানাডায় কানাডা

ঢাকা: উত্তর আমেরিকার উন্নত দেশ কানাডায় এখন আগের চেয়েও দ্রুত ও সহজে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ২২ বছরের নিচের সন্তানদের সামনে খুলেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে বহুকৃষ্টির দেশটিতে স্থায়ী হওয়ার সহজ সুযোগ।  সম্প্রতি কানাডার সিনেটে পাস হওয়া নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন সংক্রান্ত আইন বিল সি-৬ (Bill C-6) এ সুযোগ তৈরি করেছে।

এখন তাই সঠিক নিয়মে আবেদন করলে ১ বছরের মধ্যেই  পরিবারসহ কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব । গত ৩১ মে (২০১৭) অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ড্র তে  সি.আর.এস ৪১৩ পয়েন্ট পেয়েই অনেকে আই.টি.এ পেয়ে গেছে।

যা আগে কল্পনাও করা যেতো না। চলতি বছর তাই আরো বেশী সংখ্যক মানুষ ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে কানাডায় যাবার সুযোগ পাবেন।

শিক্ষা, কাজের অভিজ্ঞতা আর ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখার সক্ষমতা থাকলেই আপনি আবেদন করে পরিবারসহ কানাডার নাগরিকত্ব পেতে পারেন। অথবা যদি আপনার কনাডায় ব্যবসা করার মতো আর্থিক সামর্থ থাকে তবে যোগ্যতা কম থাকলেও কনাডা সরকার অপেক্ষা করছে আপনাকে নাগরিক হিসেবে পেতে।

সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে ১ বছরের মধ্যেই আপনি স্থায়ী হতে পারেন স্বপ্নের এই দেশটিতে। সমগ্র ইমিগ্রেশন প্রসেসটি করার জন্য আপনি একজন ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সার্বক্ষণিক পেশাদার সহায়তা নিতে পারেন।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহ্‌উদ্দিন আহমেদ রাজুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি একটি আইনি জটিল বিষয় এবং সবসময় তদারকির মধ্যে থাকতে হয়, সুতরাং একজন দক্ষ আইনজীবীর পেশাগত সহায়তা নেওয়া যেতেই পারে, তবে বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। সঠিক নিয়মে আবেদন করলে ১ বছরের মধ্যেই  পরিবারসহ কানাডার নাগরিকত্ব পাওয়া  সম্ভব।

নতুন নিয়মে পিএনপি, এক্সপ্রেস এন্ট্রি, এফএসডব্লিউপি, এফএসটিপি, কিউএসডব্লিউপি, এআইপিএন, এসআইপিএন, এমপিএনপি, এনএসএনপি, বিসিপিএনপি, ওআইএনপি, আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম, কেয়ারগিভার, বিজনেস, ফ্যামিলি স্পন্সরশিপ, এমপ্লয়মেন্টসহ নতুন নতুন বিভিন্ন প্রোগ্রামে সহজ নিয়মে পেশাজীবীদের ইমিগ্রেশন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
 
আকর্ষণীয় সেলফ ইমপ্লয়েড পার্সনস্ প্রোগ্রাম
কানাডাকে বলা হয় ইমিগ্র্যান্টদের স্বর্গ। সারা পৃথিবী থেকে বিভিন্ন পেশার ও ভাষার হাজার হাজার মানুষ কানাডার সমাজ ও সংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও খেলোয়াড়দেরও সুযোগ রয়েছে আবেদন করে কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণের।
 
পেশা: বিভিন্ন খেলার খেলোয়াড়, কোচ, ট্রেনার, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের লোকজন যেমন: মডেল, গান-নাচ-অভিনয়-মুকাভিনয় শিল্পী, কৌতুক অভিনেতা, মেকাপম্যান, প্রযোজক, পরিচালক, কোরিওগ্রাফার, ফটোগ্রাফার, ভিডিও ও ভিজ্যুয়াল ক্যামেরা পারসন, ভিডিও এডিটিং, ফ্যাশন ডিজাইনার, আ্যানিমেশন ও মাল্টিমিডিয়ার স্পেশালিস্ট পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত লেখক, কলামিস্ট, সম্পাদক, সাংবাদিক, কার্টুন নির্মাতা, ছড়াকার, ব্রড কাস্ট টেকনিশিয়ান, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, চারু শিল্পী, ইনটেরিয়র ডিজাইনার ইত্যাদি পেশার লোকজন পরিবারসহ কানাডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারেন।
 
যোগ্যতা
সংশ্লিষ্ট পেশায় অন্তত ২ বছরের আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা অথবা ২ বছরের সেলফ ইমপ্লয়মেন্ট হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা অথবা ২ বছরের ফার্ম ম্যানেজমেন্ট অভিজ্ঞতা। সঙ্গে এক লক্ষ কানাডিয়ান ডলার ইনভেস্টমেন্ট করার ক্ষমতাও থাকতে হবে।
 
প্রয়োজনীয় পয়েন্ট: ১০০ এর মধ্যে নুন্যতম ৩৫ পয়েন্ট হলেই চলবে।
 
কিউবেক ইনভেস্টর প্রোগ্রাম
গত ২৯ মে (২০১৭) কিউবেক ইনভেস্টর প্রোগ্রাম আবার চালু হয়েছে। সবচেয়ে দ্রুত ও কম সময়ে পরিবারসহ স্থায়ী নাগরিক হওয়ার সুযোগ রয়েছে এই প্রোগ্রামের আওতায়। আট লাখ কানাডিয়ান ডলার বিনিয়োগ করে এই প্রোগ্রামে আবেদন করা যায়। বিনিয়োগটি শতভাগ নিরাপদ।
 
এই প্রোগ্রামে আবেদন করার সুবিধাগুলো হলো- আট লাখ কানাডীয় ডলার ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করার সামর্থ্য এবং ৫ বছর পর বিনা সুদে মূলধন ফেরত পাওয়া যায়। পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করা যায়। শিক্ষাগত যোগ্যতা বা আইইএলটিএসের কোনো শর্ত নেই। এক দশমিক ৬ মিলিয়ন কানাডীয় ডলারের সম্পদ থাকলেই এই প্রোগ্রামের আওতায় কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়। দরখাস্ত মনজুর হবার ৩০ দিনের মধ্যে বিনিয়োগ করতে হয়। কানাডা
 
এন্টারপ্রেনার প্রোগ্রাম ইন কানাডা
এ প্রোগ্রামের আওতায় ৩ (তিন) লক্ষ কানাডিয়ান ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। কৃষি, ইন্ডাসট্রিয়াল বা কমার্শিয়াল কাজে জড়িত ব্যবসায়ীরা আবেদন করতে পারেন। তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই চলবে। দুই ভাবে অর্থাৎ ফেডারেল এবং প্রভিন্সশনাল সরকারের এন্টারপ্রেনার প্রোগ্রাম চলমান আছে।
 
কানাডা সরকার পরিচালিত অন্যান্য প্রোগ্রামগুলো হচ্ছে-
 
১. এক্সপ্রেস এন্ট্রি:
সব বিষয়ের ইঞ্জিনিয়ার, আইটি প্রফেশনাল, একাউনট্যান্ট, অডিটর, ব্যাংকার, আর্কিটেক্ট, ডাক্তার, ডেন্টিস্ট, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট, রেডিওলজিস্ট, সনোগ্রাফার,ফার্মাসিস্ট ইত্যাদি পেশার লোকজন তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর বয়স অবশ্যই ৫৩ বছরের নিচে থাকতে হবে। অন্তত গ্র্যাজুয়েশন বা সমমানের ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে। দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। প্রার্থীকে অবশ্যই আই.ই.এল.টি. এস (জেনারেল) এর প্রতিটি ব্র্যান্ডে ৬.৫ এবং এভারেজে ৭.০+ স্কোর করতে হবে।

 
২. প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম (পি.এন.পি)
কানাডার ১১টি প্রদেশে ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদনকারীদের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এই সময়ে খোলা আছে-

ব্যবসায়ীদের জন্য মেনিটোভা প্রভিন্সিয়ায় নমিনি প্রোগ্রাম

বলা হয়, ব্যবসায়ীদের জন্য মেনিটোভার দরজা ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। এই প্রোগ্রামের মূল বিষয়গুলো হলো- বয়স ৩০ হতে ৪৪ হলে সবচেয়ে ভালো হয়, ৩,৫০,০০০/- কানাডিয়ান ডলারের সম্পদ থাকতে হবে, ১,৩০,০০০/- কানাডিয়ান ডলার বিনিয়োগ করার সামর্থ থাকতে হবে, ৩ বছর ব্যবসায় মালিকানার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বা ৫ বছরের সিনিয়র পোস্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেও চলবে।

ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, ব্যবসায়ীক জ্ঞান থাকলে ভালো হয়, মেনিটোভা ভ্রমনের ক্ষেত্রে পয়েন্ট যোগ করা যায়। স্বামী ও স্ত্রীর আই.ই.এল.টি.এস এ নুন্যতম স্কোর থাকলে অধিক পয়েন্ট যোগ করা যায়।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভিন্সিয়াল প্রোগ্রাম
আইইএলটিএসে ৫ দশমিক ৫ স্কোরসহ দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা স্নাতক ডিগ্রি থাকলেই কানাডার অন্যতম সুন্দর প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় আবেদন করতে পারবেন।   ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রভিন্সিয়াল প্রোগ্রামটি চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। এক্সপ্রেস এন্ট্রি বিসি—স্কিলড ওয়ার্কার ও ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট এবং স্কিলস ইমিগ্রেশন : স্কিলড ওয়ার্কার ও এন্ট্রি লেভেল সেমি-স্কিলড। সর্বশেষ ড্রতে ৩৭৭ জন মনোনয়ন পেয়েছেন শুধু ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এন্টারপ্রেনার ইমিগ্রেশন স্কিম
এই প্রভিন্সে নতুন করে ব্যবসা স্থাপন বা ক্রয় বা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারবে এবং স্কিমের আওতায় নাগরিকত্ব লাভও করতে পারবেন।

মিনিমাম বিনিয়োগ করতে হবে ২,০০,০০০/- কানাডিয়ান ডলার, সম্পদ বা ক্যাশ থাকতে হবে ৬,০০,০০০/- কানাডিয়ান ডলার, তিন বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, উচ্চপদে ২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে- এমন ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন।
 
সাসকাচুয়ান ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম
কানাডার অন্যতম সেরা এবং উন্নত প্রদেশ সাসকাচুয়ানে কিছু বিশেষ পেশাজীবী খুব সহজ আবেদন করা ও দ্রুততম সময়ে সপরিবারে ইমিগ্রেশন ভিসা পেতে পারেন। পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে- কম্পিউটার বা ইনফরমেশন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার বা অ্যানালিস্ট, এনজিও, এগ্রিকালচার ম্যানেজার ইত্যাদি। ।

সাসকাচুয়ান এন্টারপ্রেনার বিজনেস ইমিগ্রেশন স্কিম
আগামী ১৯ জুলাই, ১৮ অক্টোবর ও ১৭ জানুয়ারী পরবর্তী ড্র এর সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং নিশ্চিত এই প্রোগ্রামে আপনি চাইলে এখনই আবেদন করতে পারেন।

এজন্য ৫,০০,০০০/- কানাডিয়ান ডলার এর সম্পদ থাকতে হবে, নূন্যতম ২,০০,০০০/- কানাডিয়ান ডলার বিনিয়োগ করার সামর্থ থাকতে হবে।

গ) অন্টারিও ইমিগ্র্যান্ট নমিনি প্রোগ্রাম
কানাডায় যারা পড়াশোনা করেছেন, কানাডায় চাকরি করার যোগ্যতা রয়েছে, কানাডায় চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন বা ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তারাই এই নির্দিষ্ট প্রদেশে আবেদন করে স্থায়ী হতে পারেন।
 
আবেদন করার শেষ তারিখ : প্রোফাইল তৈরি করার পর ১৪ দিন সময় থাকে যেকোনো ক্যাটাগরিতে আবেদন করার।
 
ঘ) নোভা স্কটিয়া নোমিনি প্রোগ্রাম (এনএসএনপি)

২০১৫ সালের পর এই প্রোগ্রাম ইতিমধ্যে চালু আছে। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টস, অ্যাডমিন অফিসার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটারে দক্ষ, নার্স ও এনজিও কর্মীরা প্রোগ্রামটিতে আবেদন করতে পারবেন।

আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম
মার্চ-২০১৭ থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে আটলান্টিক ইমিগ্রেশন পাইলট প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। এর আওতায় দীর্ঘদিন কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যেহেতু প্রোগ্রামটিতে চাকরির অফার থাকে, তাই অনেকের পছন্দনীয় প্রোগ্রাম এটি। ২০১৭ সালে দুই হাজার পরিবার এ সুযোগ পাবে বলে আটলান্টিক সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
 
ঙ) কিউবেক ইমিগ্রেশন
কিউবেক কানাডার একটি প্রদেশ হলেও এর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আলাদা ও স্বতন্ত্র। বছরের যে কোনো সময় নির্দিষ্ট কোটা উল্লেখ করে প্রোগ্রাম ঘোষণা করা হয়। সাধারণত এই প্রদেশের শর্ত বা যোগ্যতাগুলো অনেক সহজ ও শিথিল থাকে। কিউবেকের প্রোগ্রামগুলো মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে হয়ে থাকে। সেগুলো হলো—দ্য কিউবেক স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, এন্টারপ্রেনিয়ার প্রোগ্রাম ও কিউবেক এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস। প্রতিটি প্রোগ্রামের নিজস্ব শর্ত রয়েছে। আগামী ১২ মাসের মধ্যে আরো পাঁচ হাজার অভিবাসী নেবে এই প্রদেশ।
 
ফেডারেল স্কিলড ট্রেডারস প্রোগ্রাম (এফএসটিপি)
 কার্পেন্টার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ওয়েল্ডারসহ কয়েকটি পেশাজীবীরা এই প্রোগ্রামের আওতায় আবেদন করে চাকরিসহ ইমিগ্রেশন করতে পারেন। তবে তাদের বিদেশি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ট্রেড স্কিল সার্টিফিকেট’ থাকতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। এ ছাড়া কনস্ট্রাকশন, চিফ কুক, বেকার, ফিস প্রসেসিং, ইলেকট্রিক্যাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদ পরিচালনা, কৃষিকাজ ইত্যাদি কাজেরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে কানাডায়। পরিবারের যোগ্য সদস্যরা এই প্রোগ্রামের আওতায় কানাডায় যেতে পারবেন। বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছর হলেই আবেদন করা যাবে।

ফ্যামিলি ইমিগ্রেশন
ফ্যামিলি স্পন্সরশিপের আওতায় কানাডার ইমিগ্রেশন পাওয়া সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত হয়। তবে যাদের নিকটাত্মীয় নেই, তারা এই সুযোগ পাবেন না।
 
কেয়ারগিভারস প্রোগ্রাম

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়। শুধু সনদপ্রাপ্ত নার্সরা আবেদন করতে পারবেন। অন্য প্রচলিত প্রোগ্রামের মতো ৬৭ পয়েন্ট বা এক হাজার ২০০ সিআরএস পয়েন্টের প্রয়োজন নেই। নার্সিংয়ে ডিপ্লোমা বা বিএসসি পাস ও আইইএলটিএসে ন্যূনতম স্কোর পাঁচ থাকলেই আবেদন করে চাকরিসহ কানাডায় যাওয়ার সুযোগ থাকছে লাইভ ইন কেয়ারগিভার (এলপিসি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে। শিশু শিক্ষা ও যত্ন, গেরিয়াট্রিক কেয়ার, পেডিয়াট্রিক নার্সিং বা বয়স্কদের বা প্রাথমিক শিক্ষা ইমিগ্রেশনপ্রাপ্তদের প্রধান কাজ হবে।
 
কানাডায় ভিসার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন লেখক, কলামিস্ট, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহ্‌উদ্দিন আহমেদ রাজু।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যোগ্যতা নিরূপন করা আর দক্ষতার সাথে পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারলেই যে কেউ আবেদন করতে পারবেন। যাদের স্বপ্ন রয়েছে বিশ্বায়নের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা করার শুধু তাদেরই উচিত আবেদন করা।

সঠিক প্রসেস ফলো না করে যেনতেনভাবে আবেদন করে রিজেকশনের পাল্লা ভারী না করতে তিনি সবার প্রতি অনুরোধ রাখেন।

এ বিষয়ে সাহায্য প্রয়োজন হলে আগ্রহীরা ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান  ড. শেখ সালাহ্‌উদ্দিন আহমেদ রাজু’র  সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন [email protected] বা [email protected] ই-মেইল ঠিকানায়। এ ছাড়া যোগাযোগ করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নম্বরে। ভিজিট করতে পারেন  www.wwbmc.com. ওয়েবসাইট।

এ ছাড়া ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও খোঁজ নিতে পারেন। ফোনে প্রাথমিক তথ্যের জন্য কথা বলতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫, ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০, ০১৯৬৬০৪১৮৮৮, ০১৯৯৩৮৪৩৩৩৯ ও ০১৯৬৬০৪১৩৩৩ নাম্বারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭/ আপডেটেড: ১০৫০ ঘণ্টা, ২০ জুন
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।