মসজিদগুলোতে প্রতিবারের মতো এবারও তিনটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল আটটা, সাড়ে নয়টা ও এগারোটায় পরপর অনুষ্ঠিত জামাতে নামাজ আদায় করেন প্রবাসীরা।
ভিয়েনার প্রাণকেন্দ্রে বাংলাদেশিদের অর্থে কেনা জমির উপর নির্মিত ‘বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম'-এ স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন মওলানা ড. ফারুক আল মাদানি।
দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মওলানা সাইদুর রহমান আল আজাহারী, তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন মওলানা গোলামুর রহমান আল আজাহারী।
প্রধান জামাতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন ভিয়েনার কাউন্সিলর শাবাব বিন আহমেদ, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সহ-সভাপতি আকতার হোসেন, শামছুল ইসলাম, এমরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসরাম কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, লুৎফর রহমান সুজন, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বাইতুল মোকাররম ভিয়েনার কর্মকর্তা আবিদ হোসেন খান তপন, হেলালউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা জোবায়ের খান শূয়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। জামাতে অংশগ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক মুসল্লিকে মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী এবারও ঈদের জামাতের পর একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। ভিয়েনায় বাংলাদেশিদের মসজিদগুলোতে ঈদুল ফিতরের প্রতিটি জামাতে দেশের মানুষের ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
রাজধানীর বাইরে গ্রাস, সালসবব্রুর্গ এবং লিনস শহরেও ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৭
এসএস/এএ