ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

লিবিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
লিবিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন লিবিয়ায় বিজয় দিবস পালন

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনের যথাযথ মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত সেখ সেকেন্দার আলী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের সূচনা করেন।

দ্বিতীয় পর্বে মধ্যাহ্নভোজ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে ত্রিপলিতে বসবাসরত সব স্তরের প্রবাসী নাগরিকগণের পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে আমন্ত্রিত লিবিয়ার অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন। লিবিয়ার বেনগাজী হতে কয়েকটি পরিবার এ পর্বের অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও ছিলেন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা, অভিভাবক এবং প্রবাসী অতিথিরা।

এরপর রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা সভা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সেখ সেকেন্দার আলী ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সেলর (শ্রম) আসম আশরাফুল ইসলাম, প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আলম মোস্তফা, বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল ও কলেজের কার্যকরী পরিষদের সদস্য মো. দারুল ইসলাম, মো. শাহজালাল এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শিহাব উদ্দীন।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী দারুল ইসলাম, প্রকৌশলী শাহজালাল এবং বেনগাজী প্রবাসী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন।

সভায় বক্তারা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের বিজয়ের গৌরব অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান গভীরভাবে স্মরণ করেন।

রাষ্ট্রদূত সেখ সেকেন্দার আলী তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎস্বর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে লিবিয়া প্রবাসী সব বাংলাদেশির কল্যাণে এবং দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি ও স্বার্থ সংরক্ষণে সবাই একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
 
এরপর মুক্তিযু্দ্ধে শাহাদাতবরণকারী শহীদদের এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গসহ সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।