বাংলাদেশে কালাজ্বরের যখন ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায় তখন প্রফেসর ইতো বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
তিনি জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কালাজ্বর নিয়ে ব্যাপক গবেষণা পরিচালনা করেন।
কালাজ্বরের বর্তমান চিকিৎসা ও ডায়াগনোসিস পদ্ধতির প্রায় পুরোটা জুড়ে রয়েছে তার অবদান। কালাজ্বরের চিকিৎসার জন্য তিনি জাইকা ও SATREPS প্রকল্পের সহায়তায় ময়মনসিংহ জেলায় সূর্যকান্ত নামক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
সম্প্রতি জাপানের আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ বিল্ডিংয়ের সেমিনার হলে প্রদত্ত সংবর্ধনার জবাবে প্রফেসর ইতো বলেন, বাংলাদেশকে আমি ভালোবাসি, এদেশের মানুষের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও বেশি কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ইয়াং বায়োমেডিকেল রিসার্চার ফোরামের উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক শাহীন বলেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রফেসর ইতো যে অবদান রেখেছেন, আমরা পুরো জাতি তার ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানে রিসার্চ আর্টিকেল উপস্থাপন করেন আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ফেলো মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইমার্জেন্সি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের গবেষক মনিরুল ইসলাম শাফিন, ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ডা. শরীফ মহিউদ্দিন, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের গবেষক লুতফর রহমান, ফিজিওলজি বিভাগের গবেষক জুনায়েদ নাঈম ও মলিকুলার মেডিসিন বিভাগের ফেলো গবেষক শামিমা ইসলাম সোমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত বাংলাদেশি ইমার্জেন্সি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের মনিরুল ইসলাম শাফিনকে সোসাইটি ফর লিউকোসাইট বায়োলজির পক্ষ থেকে ট্রেইনি অ্যাওয়ার্ড সনদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এআর/টিসি