গত ৭ নভেম্বর দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে কাউন্সিলর সিকদার মো. আশরাফুর রহমান ও এরফানুল হক এবং প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের সামনে এই তথ্যগুলো তুলে ধরেন।
‘১০ হাজারের অধিক পাসপোর্ট জটিলতা রয়েছে’ এমন অপপ্রচারের জবাবে প্রথম সচিব সালেহ আহমেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
২০১৭ সালে জমা পড়ে ১০ হাজার ৯৮৬টি, প্রদান করা হয় ১০ হাজার ৫৪০টি; ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৭৮৬টি জমা পড়লে প্রদান করা হয় ৭ হাজার ৯৬৭টি; সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জমা পড়ে ৮ হাজার ৫৮৭টি আর দূতাবাস প্রদান করে ১১ হাজার ৪৫৬টি।
অন্যদিকে তথ্য পরিবর্তনের কারণে পাসপোর্ট পেইন্ডিং রয়েছে ৭৮২টি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে পেইন্ডিং রয়েছে ৯২০টি। সব মিলিয়ে এক হাজার ৭০২টি পাসপোর্ট আটকে রয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে।
এসময় তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট আবেদন না করার আহ্বানও জানান তিনি।
কাউন্সিলর এরফানুল হক বলেন, ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এখানে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরুষ থাকবে তিনজন এবং নারী থাকবে দুইজন। এক্ষত্রে ৩০ নভেম্বর আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে শতকরা ২ শতাংশ প্রণোদনা কার্যকর করেছে এবং যেই ব্যাংকগুলো এখনো করেনি সেগুলোও এই প্রক্রিয়া শুরু করবে। পাশাপাশি ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডে নিবন্ধন করলে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত সহযোগিতা, প্রবাসী ঋণ ও প্রবাসীদের মরদেহ বহনের খরচসহ বিভিন্ন সুবিধাগুলোর কথাও তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে কাউন্সিলর সিকদার মো. আশরাফুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রদূত শুধু রোমেই নয়, বিভিন্ন প্রদেশগুলোতে নিজেই কনস্যুলেট সার্ভিসে যান। সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে বা দেখা করতে যে কেউ-ই তার কাছে আসতে পারেন, কথা বলতে পারেন। সেখানে এই ধরনের কর্মসূচিতে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই হবে মূল উদ্দেশ্য, অন্য কিছু নয়।
প্রেস কনফারেন্সে অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব ও বাংলা প্রেসক্লাব ইটালির সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এসএ/