এ ম্যাচের আয়োজন করেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি রাসেল রহমান ও প্রবাসী সাংবাদিক মাহাফুজুল হক চৌধুরী। এটা ছিল সাইপ্রাসের সাথে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ।
করোনা ভাইরাসের কারণে ম্যাচে প্রতি দলে ৭ জন করে খেলোয়াড় নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে অতিরিক্ত খেলোয়াড়সহ সাহিব, আবু রাহাত, সাইফুল ইসলাম, তুহিন, রাজিব, শামিম আহমদ, সোহেল, শুভন, সোহরাব খেলায় অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগের ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-১ গোলের ব্যবধানে হারলেও এইবার তার উল্টোটা ঘটেছে। খেলার শুরুতেই সাইপ্রাসের খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের জালে ২ গোল দিয়ে বসে। এতে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা কিছুটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তারা হাল ছাড়েননি। বিরতির আগে বাংলাদেশ কোন গোলের দেখা না পেলেও বিরতির পর আবু রাহাতের জোড়া গোলে একে একে বাংলাদেশ সাইপ্রাসের জালে ৩ গোল দিয়ে দেয়। বাকি ১ গোল করেন সোহেল। বাংলাদেশ ৩ সাইপ্রাস ২ গোলে খেলা শেষ হয়।
খেলা শেষে সাইপ্রাসের খেলোয়াড়দের ম্যাচ হারার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রথম প্রীতি ম্যাচে সাইপ্রাসের কাছে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ার পর সাইপ্রাসের খেলোয়াড়রা বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিলেও এই ম্যাচে সাইপ্রাস হেরে যাওয়ায় তারা আর কোনভাবেই হালকাভাবে নিতে চায় না বাংলাদেশকে।
১৯৬০ সালের নভেম্বরে সাইপ্রাস ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্তি পায় সাইপ্রাস। সেই বছরেই ১৩ নভেম্বর ১৯৬২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ খেলে সাইপ্রাস। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
১৯৬৩ সালে সর্ব প্রথম গ্রিসের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে আন্তর্জাতিকভাবে জয়ের স্বাদ পায় সাইপ্রাস।
বর্তমানে ফিফা র্যাংকিং এ ৯৫তম অবস্থানে আছে সাইপ্রাস। এর আগে ২০১০ সালে ৪৩তম অবস্থানে ছিল তারা। এটাই সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ র্যাংকিং রেকর্ড।
এমন একটি দলের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জয় একটি ইতিবাচক মাইলফলক হিসেবেই দেখছেন সেখানকার বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
নিউজ ডেস্ক