নেদারল্যান্ডসের ওয়াখেনিখেন শহরের ‘কুইন অব ইন্ডিয়া’ রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সেঁজুতি নেদারল্যান্ডস’ এর সম্মেলন, পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী।
৮ আগস্ট স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্যরা এবং কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারজানা পুষ্পিতা।
সেঁজুতি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুরাদ আল হাসান চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
তিনি সেঁজুতি নেদারল্যান্ডসের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান এবং সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। কুসংস্কার, মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত মানুষের পৃথিবী গড়তে ভেতরের আলো জ্বালাতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সেঁজুতি নেদারল্যান্ডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারজানা পুষ্পিতা তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘সেঁজুতি মানে হচ্ছে সাঁঝের বাতি। যেখানে অন্ধকার সেখানে আলোর দরকার। অন্ধকার দূর করা এবং আলোকিত মানুষ গড়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংস্কৃতিভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হবে আমাদের সেঁজুতি। ’
তিনি নেদারল্যান্ডসের বাংলাভাষী শিশুদের প্রমিত উচ্চারণে বাংলা শেখা, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কণ প্রশিক্ষণ শুরু করার আশা প্রকাশ করেন।
তার বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। ক্ষুদে শিল্পী রাঈফ, জারা, যারিফ অনিন্দিতা, চিত্রাঙ্কন করে বাংলাদেশের পতাকা আর গ্রাম বাংলার চিত্র। রাঈফ, অনিন্দিতার শিশুতোষ ছড়া ছিল অনুষ্ঠানের আরেক আকর্ষণ। দ্বৈত কণ্ঠে মা-মেয়ে ইয়াসমিন মেহেরুন ও কানিজ মায়া ‘এই মন তোমাকে দিলাম’ গানে উপস্থিত সবার মন ছুঁয়ে দেন। সংগঠক জেসির ‘যাও বলো তারে মেঘের ওপারে’ গানের সঙ্গে নাচে সবার মধ্যে ছন্দের আবহ সৃষ্টি করেন। এছাড়া, সংগঠক মেহদী হাসান মাসুদের রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’ গানে সবার মন জেগে ওঠে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন নাজনীন নিগার হীরা এবং মেহদী হাসান মাসুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
এসআর/এফএম