পর্তুগাল থেকে: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ছিল পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। তবে এ মুহূর্তে এখানকার পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরের জন্য পর্তুগিজ অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণটিকে সংশোধন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের বসন্ত বৈঠকের পর তাদের এ তথ্য সংশোধন করে। প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের তথ্য মতে পর্তুগালের অর্থনীতি চলতি বছরে ৩.৯ ভাগ প্রবৃদ্ধি হবে, যা গত বছরের অক্টোবরে আভাস দেওয়া ৬.৫ ভাগের চেয়ে অনেক কম। এর আগে ব্যাংক অব পর্তুগাল চলতি বছরের জিডিপির পূর্বাভাস একই রকম দিয়েছিল।
তবে করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে আইএমএফ পর্তুগালের অর্থনীতি ১০ ভাগ পতিত হওয়ার আশঙ্কা করলেও বাস্তবে তা পতিত হয়েছিল ৭.৬ ভাগ। তবে আগামী বছর অর্থ্যাৎ ২০২২ সালে পর্তুগালের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৮ ভাগ, এমনটাই আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল।
যদি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের ধারণা সত্যি হয়, তাহলে চলতি বছরে পর্তুগালের জিডিপি হবে ৩.৯ ভাগ যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড় প্রবৃদ্ধি ৪.৪ ভাগের চেয়েও কম। অর্থ্যাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালে এ দুই বছর পর্তুগালের অর্থনীতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড় প্রবৃদ্ধির চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে এবং এটা কাটিয়ে উঠতে হয়তো আগামী বছর অর্থ্যাৎ ২০২২ সাল লেগে যেতে পারে।
এদিকে, আইএমএফের ধারণা, চলতি বছরে স্পেনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ ভাগ এবং ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৭ ভাগ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে স্পেনের প্রবৃদ্ধি কমেছিল ১১ ভাগ যা পর্তুগালের চেয়ে ৪ ভাগ বেশি। অন্যদিকে আইএমএফের তথ্য মতে, চলতি বছরে জার্মানির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৬ ভাগ এবং ২০২২ সালে ৩.৪ ভাগ। কিন্তু গত বছর মহামারির কারণে প্রবৃদ্ধি কমেছিল ৪.৯ ভাগ। যদিও এ প্রবৃদ্ধিগুলো ঐতিহাসিক দিক থেকে প্রকাশযোগ্য হলেও মূলত গত দুই দশকের পরিসংখ্যান বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি অন্যান্য বড় অর্থনীতির দেশ আমেরিকা এবং চীন তুলনায় প্রবৃদ্ধি অনেক কম।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২১
এসআই