জার্মানির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ৬০ হাজার কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে জাতীয় সংসদের ৫৯৮টি আসনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দল এসপিডি। দলটির চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী ওলাফ শলৎজের নেতৃত্বে ২০৫টি আসনে মোট ভোটের ২৫.৮ শতাংশ পেলেও মেরকেলের হাতে শক্তিশালী হওয়া দেশটির রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পেয়েছে ২৪.১ শতাংশ ভোট, আরমিন লাসেথের নেতৃত্বে দলটির সর্বমোট আসন সংখ্যা ১৯৪টি।
অন্যদিকে সবুজ দল ১৪.৮ শতাংশ নিয়ে ১১৬ আসন ও ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারের এফডিপি ১১.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জোট সরকারে থাকার দাবি আরও জোরালো করেছে।
তবে দেশটির ২০তম বুন্ডেসটাগ বা জাতীয় পারলামেন্টের নির্বাচনে সবুজ দল থেকে আবারও হেরে গেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহাবুদ্দিন মিয়া। তার ১৪৬তম নির্বাচনী এলাকায় তিনি ভোট পেয়েছেন ১২.৫ শতাংশ। আসনটিতে ৩৩.১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সিডিইউর প্রার্থী হান্স ইউরগ্যান থিইস। আসনটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এসপিডি থেকে ভোল্ফগাং হেলমিশ।
৪ বছর আগে জাতীয় নির্বাচনে তিনি হারলেও এবারের নির্বাচনে এ আসন থেকে তার সবুজ দল তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট ১৩.৬ শতাংশ ভোট পেতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের আন্দোলনের বিষয়টি চিন্তা করে এবারও তিনি আশা করেছিলেন জিতবেন।
শাহবুদ্দিন মিয়া ১৯৫৫ সাল, মাদারীপুরের রাজৈর থানার অন্তর্গত বাজিতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে উচ্চশিক্ষার্থে তিনি জার্মানিতে আসেন। সেখানে একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা শেষে ২০০৮ সালে তিনি জার্মানির গ্রিন দলে যোগ দেন। ২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত তিনি দেশটির ভ্যার্ল শহরের গ্রিন দলের সভাপতি। শাহাবুদ্দিন মিয়া হেরে গেলেও দেশটির সবুজদলের সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে জার্মানিতে কোন দল এক সংখ্যাগরিষ্টতা না পাওয়ায় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দলগুলোর মধ্যে জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায় বসবে রাজনৈতিক দলগুলো। আর সেটি হতে পরে এসপিডি, এফডিপি আর গ্রিন দলের জোট সরকার অথবা এসপিডি, মেরকেলের সিডিইউ আর গ্রিন দল, কিংবা সিডিইউ, এফডিপি এবং গ্রিনদল। ইতিমধ্যে দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়ে গেছে দর কষাকষি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
নিউজ ডেস্ক