ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তুর্কি ভাষায় প্রামাণ্যচিত্র

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তুর্কি ভাষায় প্রামাণ্যচিত্র

ঢাকা: ইস্তাম্বুলে ‌‘তুর্কিয়ে বঙ্গবন্ধু’য়ু আনিওর' (তুরস্কে বঙ্গবন্ধু) শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ওপর তুর্কি ভাষায় তুরস্কের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার সম্বলিত এটিই প্রথম প্রামাণ্যচিত্র।



রোববার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

ইস্তাম্বুলের  বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের ফ্রেন্ডশিপ হলে প্রামাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়।

কনস্যুলেটের উদ্যোগে ও  শাকিল রেজা ইফতির পরিচালনায় এই প্রামাণ্যচিত্র চিত্র নির্মিত হয়।  

তুর্কি ভাষায় নির্মিত ৩৪ মিনিট দীর্ঘ এই প্রামাণ্যচিত্রে তুরস্কের শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কিত ভাবনা ও অনুভূতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রে তুরস্কের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ আজমি ওজ্জকান, ইকোনমিক জার্নালিস্ট  অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জেলাল তোপরাক, বিশিষ্ট লেখক ও সঙ্গীতশিল্পী হাকান মেনগুছ, দক্ষিণ-এশিয়া বিষয়ক গবেষক এলিফ বালি, লেখক সাংবাদিক আহমেত জোশকুনায়দিনসহ ১২ জন বিশিষ্ট তুর্কি নাগরিকের সাক্ষাৎকার  নেওয়া হয়েছে।   

প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ড. এ কে আব্দুল মোমেন একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের সম্পর্ক এক শক্তভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে তুর্কি ভাষায় সর্বপ্রথম নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রে বিশিষ্ট তুর্কি নাগরিকদের আন্তরিক মন্তব্য নিঃসন্দেহে খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুজিববর্ষে তুরস্কের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এর চেয়ে ভালো পন্থা আর হতে পারে না।

সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া তুর্কি নাগরিকরা, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এবং পরিচালক শাকিল রেজা ইফতিসহ প্রামাণ্যচিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্ব এবং তার জীবন ও দর্শন সম্পর্কে তুর্কিদের আরও বড় পরিসরে অবহিত করার মাধ্যমে এই প্রামাণ্যচিত্রটি দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্বকে আরও বেশি গাঢ় ও মজবুত করে তুলবে বলে আমি আশা করি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আজকের এই মুহূর্তটি বাংলাদেশ-তুরস্কের জনগণ ও সর্বোপরি দু’দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রথমবারের মত তুর্কি ভাষায় নির্মিত এ প্রামাণ্যচিত্রটি দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বিরাজমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কে এক নতুনমাত্রা যোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  তুর্কির স্বনামধন্য ব্যক্তিদের অংশগ্রহণের নির্মিত এ প্রামাণ্যচিত্রটি বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের জনগণের গভীর ভালবাসা ও আবেগের পরিচয় বহন করে।

পরিচালক শাকিল রেজা ইফতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রামাণ্যচিত্রটি সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এখানে বিশিষ্ট তুর্কি নাগরিকরা তাদের মাতৃভাষা তুর্কিতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে বলছেন। প্রামাণ্যচিত্রটি তৈরির সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি কামাল আতাতুর্কের দেশের বিশিষ্টজনদের গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা দেখে আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল যাদের সহযোগিতা ও সমর্থনে এই ঐতিহাসিক প্রামাণ্যচিত্রটি করা সম্ভবপর হয়েছে।

প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক তুরস্কের বিশিষ্ট শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেছেন এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গে সম্পৃক্ত পেরে গিয়ে তারা আনন্দিত ও গর্বিত। প্রামাণ্যচিত্রটির পরিচালকসহ অংশগ্রহণকারীদের হাতে মুজিববর্ষের লোগো-খচিত বিশেষ উপহার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।