৮৪-তেও টগবগে তারুণ্যে ভরপুর তিনি। এখনো প্রাণবন্ত, কর্মমুখর।
যখন বাংলাদেশ এক কঠিন সময়ে, স্বৈরাচারের জগদ্দল পাথরে পিষ্ট দেশের জনগণ। মুক্তিপথ খুঁজে না পাওয়ায় হতাশা সবার, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশে তারুণ্যের এক অভূতপূর্ব জাগরণ হলো। জুলাই বিপ্লব আসলে তারুণ্যের বিপ্লব, তাদের সম্মিলিত বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। প্রচলিত ঘুণেধরা ব্যবস্থা, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তারুণ্যের প্রতিবাদ। এ প্রতিবাদের ভাষা, তরুণদের স্বপ্ন এবং আকাক্সক্ষা অনেকেই বুঝতে পারেননি, এখনো পারছেন না অনেকে। কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর এ কারণেই তিনি তরুণদের এ আন্দোলনকে মনেপ্রাণে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি জানতেন তরুণরাই পারবে বাংলাদেশের বুক থেকে পাথর নামাতে। অবশেষে তরুণরা যখন সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা ফ্যাসিবাদের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে তখন তারা একজন নেতা খুঁজছিলেন, যে নেতা তরুণদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে। তরুণদের ভাবতে সময় লাগেনি। মুহূর্তের মধ্যে তারা ঠিক করেন ড. ইউনূসই হবেন তাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু প্রশ্ন হলো এ মানুষটি নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকা স্বভাবের, প্রচারবিমুখ। তিনি নিজের কাজ নিয়ে মেতে থাকতে পছন্দ করেন। মানবতার কল্যাণে, বিশ্ব কল্যাণের জন্য আত্মোৎসর্গকারী এক প্রাণ তিনি। এ ধরনের রাজনীতির ডামাডোলের মধ্যে নিজেকে জড়াবেন? এর আগেও ২০০৭ সালে তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তৎকালীন সেনা কর্মকর্তারা। কিন্তু সেই অনুরোধ তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি সাফ বলে দিয়েছিলেন, রাজনীতি আমার কাজ নয়, আমার কাজ যেটা মানুষের কল্যাণ, সেটা আমি করছি। কিন্তু এবার তিনি মুখ ফিরিয়ে নিতে পারলেন না। ‘না’ বলতে পারলেন না। এর প্রধান কারণ হলো তারুণ্যের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং তারুণ্যের প্রতি তার বিশ্বাস। আর তরুণদের এ বিজয়কে চূড়ান্ত বন্দরে নেওয়ার জন্য অভিভাবকের দায়িত্ব নিলেন তিনি। ৮ আগস্ট বিমানবন্দরে নেমেই তিনি সরাসরি বললেন, ‘তরুণদের মতামত নিতে হবে এবং সমস্ত কর্মকান্ডে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ’ তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রে থাকবে তরুণরা। ’ মূলত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আগ্রহের কারণেই উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তরুণদের। এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রে তারুণ্যের অবস্থান বিশ্বের জন্য এক অনন্য উদাহরণ। এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হঠাৎ করে কোনো সিদ্ধান্ত নয়, বরং সারা জীবন তিনি যে বিশ্বাস এবং চিন্তাকে লালন করেছেন তারই প্রায়োগিক রূপ। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারা জীবন তারুণ্যের শক্তিতে বিশ্বাস করেছেন। তরুণদের ওপর নির্ভর করতে চেয়েছেন। তিনি তার বক্তৃতাগুলোতে বলেছেন, তরুণরা এই পৃথিবীকে বদলে দেবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি কথা সারা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি সব সময় বলে থাকেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো সেকেলে প্রচলিত, কিন্তু তরুণরা নতুন ভাবনা নিয়ে আসে, নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসে এবং সেটি পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে। ’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কর্মযজ্ঞে তরুণদের প্রতি রয়েছে এক ধরনের নির্ভরতা এবং অগাধ বিশ্বাস। তিনি তরুণদের সম্মান দেন। তাদের চিন্তাভাবনাগুলো অনুধাবন করেন। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেন। একটি নতুন চিন্তাকে স্বাগত জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর সমস্ত কর্মকান্ডের কেন্দ্রে রেখেছেন তরুণদের। তিনি সব সময় বিশ্বাস করেন, ‘তরুণরাই পারে, তরুণরাই পারবে। ’ আর এ কারণেই তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্ব তারুণ্যের কণ্ঠস্বর। বিশ্ব তরুণদের নেতা। তারুণ্যের প্রকৃত অভিভাবক। তিনি তারুণ্যের ভিতরের শক্তিকে আবিষ্কার করেন এবং এ শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। আর এ কারণেই সব দেশের তরুণদের কাছে এ মুহূর্তে সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কারণ তিনি তরুণদের ভাষা পড়তে পারেন, তাদের চিন্তাকে মূল্যায়ন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তরুণরা জ্ঞানী, গুণী, বিজ্ঞজন এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনতে চান নানা উপলক্ষে। আর সেই আগ্রহের তালিকায় সবার ওপরে আছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তরুণদের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলার জন্য, তরুণদের উদ্দীপ্ত করার জন্য। বিশ্বের ৬০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সামাজিক ব্যবসা ক্লাব রয়েছে। বিশ্বের এমন কোনো প্রান্ত নেই যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য রাখেননি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে আচার্য পদে সম্মানিত করেছে। বেশকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি ভিজিটিং প্রফেসর। ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে তরুণদের আইকন, বিশ্ব তরুণদের নেতা তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিশ্বে ৪ হাজারেরও বেশি সামাজিক ব্যবসার ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে। যা তরুণদের দ্বারাই পরিচালিত। এ ল্যাবগুলো সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। মূলত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম থেকে সামাজিক ব্যবসা, সামাজিক ব্যবসা থেকে ‘তিন শূন্য তত্ত্ব’ সবই তরুণদের ঘিরে। আগামী দিনে যারা বিশ্বের নেতৃত্ব দেবেন, তাঁরা যেন একটা বাসযোগ্য পৃথিবী পান, তারা যেন এ বিশ্বটাকে শান্তির বিশ্ব হিসেবে বিকশিত করতে পারেন সে লক্ষ্যে কাজ করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১৯৭৪ সালে যখন তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তখন তিনি তরুণ ছিলেন এবং নিজের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে তাঁর পুরো কর্মজীবনে তিনি তারুণ্যের প্রতিভাকে বিকশিত করতে চেয়েছেন। আমরা যদি গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব, এখানে তারুণ্যের উদ্দীপনা এবং তারুণ্যের স্ফুরণ। তরুণরাই সৃজনশীল, তারা নতুন ভাবনা ভাবতে পারেন, তারা বৃত্তের বাইরে গিয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। সমাজ এবং রাষ্ট্রের জঞ্জাল, আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারেন। এজন্যই তরুণদের রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্বে আনার পক্ষে ড. ইউনূস। আর এর বাস্তবায়ন ঘটালেই বিশ্ব বদলে যাবে- এ বিশ্বাস থেকেই তিনি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে বহুমাত্রিক ধারায় বিকশিত করেছেন। একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছেন, যেখানে তার মূল সৈনিক হলেন তরুণ সমাজ, যারা স্বপ্নবাজ। ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা কার্যক্রম মূলত তরুণ-নির্ভর। একটি কথা শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ সব সময় বলেন তা হলো, ‘তরুণরা চাকরি খুঁজবে না, তারা চাকরি দেবে। তারা একেকজন উদ্যোক্তা হবে। ’ এ উদ্যোক্তা হওয়ার তত্ত্ব এবং উদ্যোক্তার মাধ্যমে সামাজিক ব্যবসার বিকাশই যে বিশ্বের অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারে তা আজ সবাই স্বীকার করছেন। সবচেয়ে বড় কথা, অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরপুর তরুণদের কাজে লাগানোর এটাই সবচেয়ে ভালো পথ। এর ফলে বেকারত্বমুক্ত এবং আশাবাদী তরুণ প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। যারা শৃঙ্খলিত নয়। অসম্ভব বলে তাদের কাছে কিছু নেই।
বিশ্বের দেশে দেশে সামাজিক ব্যবসা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সামাজিক ব্যবসা তরুণদের এক নতুন পথের সন্ধান দিচ্ছে। তরুণরা তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছেন। তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে এবং আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান তরুণরা যে কোনো অসাধ্য সাধন করতে পারেন, তার প্রমাণ তো বাংলাদেশ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিন্তাভাবনা অনেক সুদূরপ্রসারী, অনেক দূরদৃষ্টি। যার জন্য সাদা চোখে এ ভাবনাগুলো বোঝা যায় না। অনেকেই মনে করেন যে তারুণ্যনির্ভরতা অভিজ্ঞদের হয়তো হতাশ করবে। অভিজ্ঞতার মূল্যকে অবজ্ঞা করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা নয়, বরং ড. ইউনূস বিশ্বাস করেন তারুণ্যের কর্মশক্তি, তাদের উদ্দীপনা, তাদের সাহস এবং প্রবীণদের অভিজ্ঞতা মিলেমিশে একটি সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণ সম্ভব। সেই সুন্দর পৃথিবীর জন্য তিনি স্বপ্ন দেখেন এবং সেই স্বপ্নযাত্রায় তিনি একজন বীর লড়াকু যোদ্ধা। এ লড়াইয়ে তিনি অনেকগুলো বিজয় অর্জন করেছেন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের তরুণ সমাজ এখন নানাভাবে হতাশাগ্রস্ত। তাদের সামনে কোনো আদর্শ নেই, তাদের সামনে কোনো পথপ্রদর্শক নেই। তরুণদের প্রায় অবজ্ঞা এবং অবহেলা করা হয়, তাদের চিন্তাভাবনাগুলোকে সমাজ গ্রহণ করতে চায় না। অনেক সময় তরুণদের ভাবনাগুলো প্রবীণরা বুঝতে পারেন না। ফলে আমাদের বিশ্বে যে বিপুল প্রাণশক্তিতে ভরপুর তরুণ রয়েছে তাদের আমরা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পরিকাঠামোর কেন্দ্রে আনতে পারি না। তাদের সৃজনশীলতার মূল্যায়ন হয় না। এটা রাষ্ট্রের অপচয়, বিশ্বের ক্ষতি। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেন এ ব্যাপারে অনবদ্য সুযোগ পেয়েছেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর বারবার তরুণদের উদ্দীপ্ত করছেন, তরুণদের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তাদের মতামতকে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত করেছেন। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী জায়গায় এনেছেন তরুণদের। আমরা এখন অনেক কিছুই নতুন দেখছি। নতুনকে গ্রহণ করতে আমাদের এক ধরনের অনভ্যস্ততা থাকে, থাকে অনীহা। কিন্তু এটিই হবে আগামীর বাংলাদেশের ভিত্তি। অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের সৃজনশীলতার মেলবন্ধনই নতুন করে বাংলাদেশ বিনির্মাণ হচ্ছে সবার অলক্ষ্যে। এর ফল আমরা পাব আরও পরে। ড. ইউনূসের নিজের কোনো রাজনৈতিক অভিপ্রায় নেই, কিন্তু তিনি মনে করেন যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে গেলে তারুণ্যের সৃষ্টি সুখের উল্লাস প্রয়োজন। আর এ কারণেই তরুণদের রাজনৈতিক দলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বয়সের ব্যারিকেড উপড়ে ফেলে তরুণদের অনুধাবন করা এবং তরুণদের হৃদয়স্পন্দন বুঝতে পারা একটি অনন্য যোগ্যতা। নতুন চিন্তা, নতুন পরিকল্পনাকে যারা স্বাগত জানাতে পারেন, পরিবর্তনে যারা ভয় পান না, তারাই আধুনিক অগ্রসর মানুষ। ড. ইউনূস তেমনি একজন অগ্রসর মানুষ। তিনি নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে সব সময় আগ্রহী। তরুণরা সব সময় পথ দেখান। আমরা যদি বাংলাদেশের ইতিহাস বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণ আন্দোলন এবং চব্বিশের বিপ্লব সবই তারুণ্যের জয়গাথা। কাজেই তরুণরা যে পারেন সেটি নতুন করে পরীক্ষার কিছুই নেই। বিশ্বকে বদলে দিতে পারেন তরুণরা। কিন্তু তাদের দিতে হবে সেই সুযোগ। সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার এক পথপ্রদর্শক হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর এ কারণেই সারা বিশ্বে তরুণরা যখন এক আদর্শ হাতড়ে বেড়ান, তাদের যখন কেউ আশাবাদী করেন না, ভরসা দেন না, তাদের দমিয়ে রাখতে চান, ঠিক সে সময় তারা একটি মুখের প্রতিচ্ছবি তাদের উদ্বেলিত করে। আর তিনি হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যিনি জীবনভর তারুণ্যের অর্গল মুক্তির গান গেয়ে যাচ্ছেন। তরুণদের মেধা, চিন্তা ও কর্মশক্তিতে যার আস্থা সব সময়। আর সে কারণেই তিনি এখন বিশ্ব তারুণ্যের কণ্ঠস্বর, তারুণ্যের বিশ্বনেতা। বাংলাদেশে তরুণরা আজ চালকের আসনে। সামনে এটিই হবে বিশ্ব মডেল।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫