ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

নেত্রকোনায় ড্রাগন ফল চাষে বছরে আয় ৫০ লাখ টাকা

আব্দুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
নেত্রকোনায় ড্রাগন ফল চাষে বছরে আয় ৫০ লাখ টাকা ড্রাগন ফল। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোনা: নেত্রকোনায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ড্রাগন ফলের চাষ। বাজারে ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় দিন দিন বাড়ছে এই ফলের চাষ।

মিষ্টি ও টকমিষ্টি স্বাদের ড্রাগন ফলে প্রচুর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ থাকায় বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।  

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নেত্রকোনার মাটি ও জলবায়ু ড্রাগন ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ড্রাগন চাষিদের তারা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন।

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের টেংঙ্গা গ্রামের গৃহিনী হাফিজা আক্তার পাঁচ একর জমিতে ২০১৯ সালে বিভিন্ন জাতের ছয় হাজার ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেন। এতে তার খরচ হয় ১২ লাখ টাকা। দুই বছর পর তার বাগানে ফল আসতে শুরু করে। এ বছর তিনি ৫০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল ও চারা বিক্রি করেন। এপ্রিল মাসে গাছে ফুল আসে এবং জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ফল তোলা যায়। তার বাগানে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যবহার করায় ফলের গুণগত মান ঠিক রয়েছে এবং আকারেও অনেক বড় হয়। একেকটি ড্রাগন ফলের ওজন ৬শ গ্রাম থেকে ৮শ গ্রাম পর্যন্ত হয়।

ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তিনি কমলা, মাছ চাষ, হাসঁ-মুরগি পালনসহ কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছেন। এখানে অনেক বেকার যুবক কাজ করে তাদের সংসার চালাচ্ছেন। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় তার দেখাদেখি অনেকেই এই বাগান করছেন।

ড্রাগন বাগানের শ্রমিক জসিম মিয়া বলেন, আমি শুরু থেকেই এই বাগানে কাজ করে আসছি। আমার সঙ্গে এই বাগানে আরও দুইজন কাজ করে। এই এলাকায় বাগানটি হওয়ায় এখানে কাজ করে আমাদের বেকারত্ব দূর হয়েছে।  

নেত্রকোনার খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, পুষ্টিগুণসম্পন্ন ড্রাগন ফলের আবাদ বাড়াতে কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি।  

তিনি আরও বলেন, ড্রাগন ফলের চাষ লাভজনক হওয়ায় নেত্রকোনার বিভিন্ন অঞ্চলে দিন দিন এ ফলের চাষ বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।