ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

বীজের মান নিয়ে কোনো ছাড় নয়: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
বীজের মান নিয়ে কোনো ছাড় নয়: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: কৃষি উপকরণের অন্যতম উপাদান বীজের মান নিয়ে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ‘বাংলাদেশ সিড কংগ্রেস ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি উৎপাদনের মূল উপকরণ হলো বীজ। ভালো ফলন ও উৎপাদনশীলতার জন্য মানসম্পন্ন বীজ অপরিহার্য। কাজেই বীজের মানের বিষয়ে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। কৃষক যাতে শতভাগ আস্থার সঙ্গে নির্দ্বিধায় বীজ ব্যবহার করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার সার, বীজসহ কৃষি উপকরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বিগত ১৪ বছরে সার-বীজের কোনো সংকট হয়নি। বিশ্বব্যাপী সারের দাম চারগুণ বাড়লেও সরকার দেশে সারের দাম বাড়ায়নি বরং আগের চেয়ে চারগুণের বেশি ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। বীজের দামও বাড়ায়নি। কৃষি উৎপাদন বজায় রাখতে আগামীতেও সার-বীজের দাম বাড়াবে না।  

বীজ কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, নিম্নমানের বীজের বিষয়ে এখনও অনেক অভিযোগ আসে, মাঠ থেকে খবর পাই যে, চারা অর্ধেক গজায়নি। এখনও কিছু কোম্পানির প্রতারণা করার প্রবণতা আছে। অনেক সময় কৃষকরা নিম্নমানের বীজ কিনে প্রতারিত হয়। এতে একদিকে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে উৎপাদন ব্যাহত হয়। এ বিষয়ে বীজ অ্যাসোসিয়েশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বীজের মানের বিষয়ে কৃষকের শতভাগ আস্থা অর্জন করতে হবে। আর এতে বীজ কোম্পানিগুলোই বেশি উপকৃত হবে।

বিদেশ থেকে বীজ দেশে আনার বিষয়েও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, এসব জাত দেশের জন্য কতটুকু উপযোগী, কোনো রোগব্যাধি বা জীবাণু আছে কিনা, কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কিনা, পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে কিনা, এসব বিষয়ে শক্তভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, গেস্ট অব অনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জ্যান বেলি, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সিড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মনিশ প্যাটেল, ইন্টারন্যাশনাল সিড ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি মাইকেল কেলার বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ দৌলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।