ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

‘ফরিদপুরের ডন’ দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
‘ফরিদপুরের ডন’ দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়

ফরিদপুর: কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

 

প্রতিবারের মতো এবছরও ‘ফরিদপুরের ডন’ নামের একটি গরু ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে।  

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হরেরকান্দি গ্রামের রুবায়েত হোসেনের গরু এটি। নিজ বাড়িতেই একে লালনপালন করছেন তিনি।  

আর ডনকে দেখতে রুবায়েতের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারও মানুষ।

তা হবারই কথা। এই গরুর ওজন বর্তমানে ১৬০০ কেজি। স্থানীয় অনেকের দাবি, ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু এটি।

মূলত: এই প্রথম বিশালাকার গরুটিকে ঘরের বাইরে আনেন রুবায়েত।  দুই বছর আগে ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে আনেন তিনি। গরুটিকে একটি ঘরের মধ্যে রেখেই লালনপালন করেছেন। দুই বছরের মধ্যে এক দিনের জন্যও গরুটিকে ঘরের বাইরে আনেননি।  

কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে এক সপ্তাহ আগে ঘর ভেঙে ডনকে বাইরে আনেন রুবায়েত। তখন ডনকে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায় রুবায়েতের বাড়িতে।  

ঈদের হাটে সবচেয়ে বড় গরু কোনটি তা নিয়ে চলে আলোচনা, এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হয়। এ বছরের কুরবানি ঈদে ফরিদপুরের ‘ডন’ থাকবে সেই আলোচনার শীর্ষে - এমনটাই আশা এর মালিক রুবায়েত ও ফরিদপুরবাসীর।  

‘ডন’-এর উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং লম্বায় ১২ ফিটের বেশি। ওজন ১৬০০ কেজির মতো। বলা হচ্ছে, ডনই ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু।  

ইতোমধ্যে ডনকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। গরুটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ভিড় করছেন মানুষ। তাদের মাঝে গরুটির দাম নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।  

স্থানীয়রা বলছেন, গো-খাদ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকেই গরু-ছাগল পালন বন্ধ করে দিয়েছেন। কেউ বা গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ইনজেকশন দেন কিংবা ওষুধ খাওয়ান।

‘ডন’ এর মালিক রুবায়েত হোসেনের দাবি, এমনটি করেননি তিনি। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ডনকে।

তিনি বলেন, আমি নিজে ঘাস চাষ করে গরুকে খাইয়েছি। পাশাপাশি ছোলা, ভুসি তো আছেই। প্রতিদিন কমলা, মাল্টা, আঙুর ও কলা খাওয়ানো হচ্ছে ডনকে।  

তিনি আরও বলেন, কুরবানি ঈদ আসার আগেই অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত দরদাম করছেন ক্রেতারা। ২৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করব। তবে আমার ইচ্ছা কুরবানির হাটে নিয়ে ডনকে বিক্রি করা।

সালথা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নাহিদুল ইসলাম বলেন, ষাঁড়টিকে লালন পালনে সফল ব্যক্তি রুবায়েতকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করি, ষাঁড়টির ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করে লাভবান হবেন তিনি। এতে আরও অনেকে উৎসাহ পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।