কুমিল্লা: কুমিল্লায় মোট জনসংখ্যা সোয়া ৬২ লাখ। এ জনসংখ্যার বর্তমান খাদ্য চাহিদা ১০ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৩ মেট্রিক টন।
তার মানে, উদ্বৃত্ত খাদ্য রয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার ব্যবস্থাপনায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), কুমিল্লা অঞ্চলের সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) কুমিল্লা বার্ডে ‘কুমিল্লা অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএডিসি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ।
সভাপতিত্ব করেন ব্রি-এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিএই’র সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বিএডিসির সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) কৃষিবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রি-এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. খালেকুজ্জামান, ব্রি-এর পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো. আব্দুল লতিফ এবং ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া ডিএই কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপ-পরিচালকরা নিজ জেলার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় ডিএই, বিএডিসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভিন্ন সেচ প্রকল্প, পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং এনজিও’র প্রতিনিধিরা এবং বীজ, সার, কীটনাশক ডিলার ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রি, কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ কে এম সালাহ্উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিজয়া সাহা ও তাসনিয়া ফেরদৌস।
বক্তারা বলেন, খাদ্যের যোগান বাড়াতে অন্যান্য ফসলের সঙ্গে আমনের উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। সার, বীজ ও বিদ্যুৎ দিয়ে সরকার সহযোগিতা করবে। ফলন বৃদ্ধিতে নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন আমন ধানের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এছাড়া বন্যা, খরা, রোগ ও পোকা-মাকড় সহনশীল জাত উদ্ভাবন ও জলাবদ্ধতা, জলমগ্নতা সহনশীল নতুন জাত উদ্ভাবন করাও প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
এসআই