ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

কৃষি

বিশ্বের সবচেয়ে দামি মরিচ চাষ হচ্ছে কুমিল্লায়!

তৈয়বুর রহমান সোহেল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১৬, জুলাই ২৬, ২০২৩
বিশ্বের সবচেয়ে দামি মরিচ চাষ হচ্ছে কুমিল্লায়!

কুমিল্লা: ‘আজি চারাপিটা’কে (চারাপিতা/ক্যারাপিটা) বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি মরিচ। যার প্রতি কেজির দাম ২৫ থেকে ২৬ হাজার মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ২৭ থেকে ২৮ লাখ। ইন্টারনেট সূত্র বলছে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু ছাড়া অন্য কোথাও এ মরিচ সেভাবে হয়। এজন্যই এর দাম এতো বেশি।  

দামি এ মরিচ চাষ করেছেন কুমিল্লার আহমেদ জামিল সেলিম নামে এক ব্যক্তি।  

তিনি কুমিল্লা নগরের ঠাকুরপাড়ার বাসায় তিনটি ও ঢাকার বনশ্রীর বাসায় দুটি চারা লাগিয়েছেন তিনি। টানা ছয় বছরের প্রচেষ্টার পর এ মরিচ গাছের চারা হয়েছে। বর্তমানে কুমিল্লার তিনটিসহ সবগুলো গাছেই মরিচ ধরেছে।
 
আহমেদ জামিল সেলিম বলেন, গুগলে সার্চ করে জানতে পারি, বিশ্বের সবচেয়ে দামি মরিচ চারাপিটা। এটি পেরুতে উৎপাদন হয়। ছয় বছর আগে আমি পেরু থেকে এ মরিচের বীজ সংগ্রহ করি। কিন্তু বীজ বপনের পর সেখান থেকে চারা গজাচ্ছিল না। এরপর আরও চার বছর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। পরে আমেরিকা প্রবাসী মেজবাহউজ্জামান বাবু নামে আমার এক বড় ভাইয়ের সহযোগিতা চাই। তার কাছে বীজ পাঠিয়ে বপন করার অনুরোধ করি। তিনি বীজ লাগানোর প্রায় এক মাস পর সেখানে চারা গজায়। গাছে মরিচ ধরে। আমি এবার এ গাছের বীজ সংগ্রহ করে ঠাকুরপাড়ায় ৫০টি বীজ বপন করি। এ ৫০টি বীজ থেকে পাঁচটি চারা গজায়।
 
তিনি জানান, গাছগুলোর জন্য আলো প্রয়োজন। তবে রাখতে হয় ছায়াযুক্ত স্থানে। গাছে নিয়মিত সেচ দিতে হয়। কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে হলুদ দেখায় মরিচ। দেখতে গোল মরিচের মতো, ঘ্রাণ অসাধারণ। কোনো লাভের আশায় নয়, তবে দেশের কৃষকদের সচ্ছলতার কথা চিন্তা করে আমি এ মরিচ উৎপাদন শুরু করেছি।
 
অনলাইন বীজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, চারাপিটা মরিচ দেশে আগে কোথাও চাষ হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই। কুমিল্লায় চাষ হওয়া মরিচের মান ও দামের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সদ্য সাবেক উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আহমেদ জামিল বিভিন্ন সময় নতুন ফসল চাষ করেন। তার দাবি, তিনি বিশ্বের দামি মরিচ চারাপিটার চাষ করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

শৌখিন এ কৃষি উদ্যোক্তা এর আগে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার নাওরা গ্রামে সাত একর জমিতে কালো টমেটো চাষ করেন। এরপর ৭০ একর জমিতে তিনি সাউ পেরিলা (তেলবীজ) চাষ করেন। এসব চাষ করে সফলও হন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।