ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

শিবচরে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে জমির ফসল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
শিবচরে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে জমির ফসল

মাদারীপুর: দুই দফায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন স্থানের বিস্তীর্ণ জমির ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।  

ফসলের জমিতে বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় ধান ও শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

 

সর্বশেষ গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের (২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও কৃষকরা জানান।

কৃষকেরা জানান, ১৫ দিনের ব্যবধানে দুই দফা টানা বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় জমিতে পানি আটকে থাকা, নদ-নদীর তীর সংলগ্ন জমি প্লাবিত হওয়ায় নানা জাতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় এবং গত দুই তিনদিন দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো শিবচরেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়। ফলে নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পায়, একই সঙ্গে নিচু স্থানের ফসলের জমিতে পানি জমে থাকায় রোপা আমন ধান ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে উপজেলার শাক-সবজির বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে দুই দফা টানা ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার ৭৫০ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ফসলের মধ্যে রয়েছে,  ১২৫ হেক্টর জমির রোপা আমন, ৬৫ হেক্টর জমির শাক-সবজি, ২৫০ হেক্টর জমির বোনা আমন, ১২৫ হেক্টর জমির পান, ৫০ হেক্টর জমির মাসকালাই এছাড়াও ১৩৫ হেক্টর জমির মরিচ, পেঁপে ও কলা। এর মধ্যে ২০ ভাগ জমির ফসল ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে এ সব ফসলের আবাদ করা হয়েছে। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পানের বরজ। ১৮০ হেক্টর জমির মধ্যে ১২৫ হেক্টর জমির পান বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। যার বেশির ভাগই ক্ষতির মুখে বলে জানা গেছে।

শিবচরের কাঁঠালবাড়ী এলাকার কৃষক সিরাজ আকন বলেন, বৃষ্টিতে ধানসহ আমাদের জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জমিতে পানি জমে থাকায় ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এই এলাকার অনেক কৃষকের ফসলই এই বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরেক কৃষক আলমগীর জঙ্গি বলেন, আগের বৃষ্টির পানি না শুকাতেই আবার বৃষ্টি হলো গত দুদিন। সবজিসহ রোপা আমন ধান নষ্ট হওয়ার পথে।

শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসের বৃষ্টিতে উপজেলার ৭৫০ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ ভাগ ফসল ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে পরামর্শ দিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।