ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ধানের কেজি ২৩ টাকা, চাল ৩২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
ধানের কেজি ২৩ টাকা, চাল ৩২

ঢাকা: আসন্ন বোরো মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল কিনবে সরকার।

 

এবার প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ টাকা এবং চালের দাম ধরা হয়েছে ৩২ টাকা।

রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এ কথা জানান।
 
মন্ত্রী বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৫ মে থেকে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হবে, এবার ধান ও চাল মিলিয়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হবে।
 
তিনি বলেন, কৃষকদের সরাসরি প্রণোদনা দেওয়ার জন্য এবার ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। গতবার বোরো মৌসুমে এক লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর চাল সংগ্রহ করা হয়েছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন।
 
মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনতে চাই। যেন কৃষকরা সরাসরি এই প্রণোদনা পান। আর চাল সংগ্রহ করা হবে ৬ লাখ মেট্রিক টন।
 
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগে চাল বেশি সংগ্রহ করা হতো, আর ধান করা হতো কম। কিন্তু এবার এতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ধানের প্রতি কেজি মূল্য ধরা হয়েছে ২৩ টাকা, আর চালের প্রতিকেজি মূল্য ৩২ টাকা। আগামী ৫ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সংগ্রহ অভিযান চলবে।


তিনি বলেন, ধান কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। আর চাল মিল থেকে কেনা হবে। এবার যে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে, এত বেশি এর আগে কখনো সংগ্রহ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ধানের উৎপাদন খরচ পড়বে ২০.৭০ টাকা ও চালের খরচ পড়বে ২৯ টাকা।
 
বর্তমানে সরকারের কাছে ১১ লাখ মেট্রিক টনের কিছু কম ধান ও চাল মজুদ রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গুদামে ২০ লাখ টন মজুদের জায়গা আছে। এই যে ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল কেনা হবে, তা এক সাথে কিনবো না। এর মধ্যে মজুদ থাকা ধান-চালও বের হয়ে যাবে। একদিকে কমবে, অন্যদিকে কেনা হবে।
 
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিধারণ কমিটির বৈঠকে উপস্থি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
টিএইচ/এমএ/পিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।