ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

প্রতি মণ ধান উৎপাদন খরচ ৮শ, বিক্রি ৪৫০!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৬
প্রতি মণ ধান উৎপাদন খরচ ৮শ, বিক্রি ৪৫০! ছবি: বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

নোয়াখালী: সরকার বোরো ধান প্রতি কেজি ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছে ২২ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মণ ধানের ন্যায্য মূল্য ৮৮০ টাকা।

এ ধান উৎপাদন করতে একজন দিনমজুরের পারিশ্রমিক পাঁচশ টাকা, হাল, সেচ, কীটনাশক, সার প্রয়োগ, ধান কাটা ও মাড়াই সহ অন্যান্য খরচ দিতে হয়েছে।

এতে প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ৮০০ টাকা। কিন্তু এখানে সরকারিভাবে ধান ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত বোরো ধান বাধ্য হয়ে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতি মণ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়।

যেকারণে নোয়াখালীর চাটখিলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার কৃষক।

উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় নির্ধারিত দামের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। এতে কৃষি ঋণ নিয়ে অল্প পুঁজির কৃষকরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ধান চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চাটখিল উপজেলায় বিআর-২৮ জাতের বোরো ধান কিছুটা চিটা হলেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। প্রায় ২২ হাজার কৃষক ৮ হাজার হেক্টর জমিতে উফসী ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধান চাষ করেন।

এরমধ্যে উফসী এক হাজার চারশ হেক্টর জমিতে এবং হাইব্রিড ৬ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল উফসী ৫ হাজার ৬১৮ মেট্রিক টন এবং হাইব্রিড ৩২ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন।

স্থানীয় শংকরপুর গ্রামের কৃষক আনিসুল হক, সাধুরখিল গ্রামের কৃষক আমিন উল্যা বাংলানিউজকে জানান, তারা ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন। বর্তমান পাইকারি বাজারে ধানের দামের চেয়ে তাদের উৎপাদন খরচ পড়েছে দ্বিগুণ। এতে করে তারা ঋণের বোঝা সহ আর্থিকভাবে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখানে সরকারিভাবে ধান ক্রয়কেন্দ্র না থাকায় কৃষকরা বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামীতে বোরো ধান চাষ হুমকির মুখে পড়বে।

নোয়াখালী-২ (চাটখিল) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম বাংলানিউজকে জানান, কৃষক যেন তাদের ধানের ন্যায্য মূল্য পান, এজন্য সরকারিভাবে ধান ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আগামীতে আরও সহজ শর্তে কৃষি ঋণ ও ধান চাষে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬

পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।