ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার প্রয়োগের তথ্য জানাবে সফটওয়্যার

আবু খালিদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৬
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সার প্রয়োগের তথ্য জানাবে সফটওয়্যার

ঢাকা: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে যেখানে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটের সুবিধা নেই সেসব এলাকার কৃষকদের জন্য জমিতে সার প্রয়োগের দিক-নির্দেশনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে সফটওয়্যার।

‘অফলাইন ডিজিটাল সার সুপারিশ’ নামের সফটওয়্যারটির মাধ্যমে এ সেবাটি পাবেন কৃষকরা।

এর ফলে ওইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের জমিতে ফলন বাড়বে ও জমির মান ঠিক থাকবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে সফটওয়্যারটি। ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ‘অফলাইন ডিজিটাল সার সুপারিশ’ কর্মসূচির পরিচালক ড. মহিউদ্দিন আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হবে সফটওয়্যারের কাজ।

এ কর্মকর্তা জানান, ‍আগামী জুলাই বা পরবর্তী মাসে সফটওয়্যারটির উদ্বোধন করা হবে। সফটওয়্যারটির মাধ্যমে যেন কৃষকরা সঠিকভাবে সেবা পান সে লক্ষ্যেও কাজ করা হবে। যেমন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এর আগে ২০১৪ সালে অনলাইনে জমিতে সার প্রয়োগের নির্দেশনা নিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, সফটওয়্যারটি ইউনিয়নভিত্তিক বিভিন্ন সুষম সারের পরিমাণ নির্ণয় করে কৃষক ও উপকারভোগীদের সহজে অল্প সময়ে সার প্রয়োগের নির্দেশনা প্রদান করবে।

প্রাথমিকভাবে উপজেলা পর্যায়ে ইনস্টল করা হবে সফটওয়্যারটি। এরপর ইউনিয়ন ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রে ইনস্টল করা হবে। এসব তথ্য কেন্দ্রে কৃষকরা এসে তাদের জমির ঠিকানা ও ফসলের কথা বললেই চাহিদা অনুযায়ী কী পরিমাণ ও কোন কোন ধরনের সার প্রয়োগ করতে হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে গবেষণার পরেই এ সফটওয়্যারের কাজ শুরু হয়। দেশে এখনো অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের সেবা নেই। কিন্তু ইউনিয়ন ও উপজেলায় পর্যায়ে ই-তথ্য সেবা চালু রয়েছে। সেখান থেকে কৃষকরা চাইলেই এ সেবাটি পেতে পারেন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সঠিক ও পরিমিত সার প্রয়োগের অভাবে মাঝে মধ্যেই বিপাকে পড়তে হয় কৃষকদের। এতে ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি জমিতে বিরুপ প্রভাব পড়ে। সফটওয়্যারটির সেবা সঠিকভাবে কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দিতে পারলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৬
একে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।