ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

হাড়িভাঙ্গা আমের বাজারে আগুন

নজরুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৬
হাড়িভাঙ্গা আমের বাজারে আগুন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর: সুস্বাদু হাড়িভাঙ্গা আমের মূল্য চড়ছেই। চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা।

গত মৌসুমের লোকসান পুষিয়ে বড় অংকের লাভের মুখ দেখেছেন তারা।

তবে বাগানে আম কমে যাওয়ায় দাম বেড়েই চলেছে।

শুক্রবার (০৮ জুলাই) এক কেজি হাড়িভাঙ্গা আম ১শ’ ৩০ টাকা থেকে ১শ’ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দশদিন আগেও ছিল ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি। দশদিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা।

অন্যদিকে পাইকারি বাজারে প্রতি মণ হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। দু'একদিনের মধ্যে দাম আরও দ্বিগুন হবে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

হাড়িভাঙ্গা আমের বড় মোকাম পদাগঞ্জ বাজারের চাষি ফিদ্দু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত মৌসুমে আম উৎপাদিত হয়েছিল কম। বাজারে দামও ছিল খুবই কম। অনেক চাষি ও পাইকারি ব্যবসায়ীর লোকসান হয়েছে। এবার উৎপাদন বেশি হলেও দাম পেয়েছি ভালো। হাড়িভাঙ্গা আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় রংপুরে দাম দিন দিন বাড়ছে আর বাড়ছে’।

মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ, রাণীপুকুর, ময়েনপুর, বালুয়া মাসিমপুর, বড়বালা, গোপালপুর, দুর্গাপুর ও পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ৩ হাজারের মতো চাষি হাড়িভাঙ্গা আম চাষ করে থাকেন। এর সঙ্গে জড়িত পাইকারি ব্যবসায়ী রয়েছেন আরও প্রায় ২ হাজার।

হাড়িভাঙ্গা আমচাষি আলহাজ আব্দুস সালাম সরকার বাংলানিউজকে জানান, রমজানে প্রায় সব বাগানের আম শেষ হয়ে গেছে। এখন বাগানে আমের সংখ্যা খুবই কম। এরপরও চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

পাইকারি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রতি মণ হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায়। দু'একদিনের মধ্যে দাম আরও দ্বিগুন হবে।

পাইকারি ব্যবসায়ী আকবর আলী জানান, বাজারে হাড়িভাঙ্গা আম নেই বললেই চলে। ফলে মৌসুম শেষের দিকে দাম অনেক।

রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৫ জেলায় এবার হাড়িভাঙ্গা আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর ২শ’ কোটি টাকার আম উৎপাদিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে আম সংরক্ষণসহ নানা জটিলতায় দর পতনের আশঙ্কায় দ্রুত আম বিক্রি করে দিয়েছেন চাষিরা।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ খন্দকার মেজবাহুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রংপুর কৃষি অঞ্চলের ৩ হাজার হেক্টর জমি হাড়িভাঙ্গাসহ বিভিন্ন আম চাষের আওতায় এসেছে। এক একর জমির বাগানে আম পাওয়া যায় দুই থেকে তিন মণ।

অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আফতাব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, চাষিরা ফরমালিন ছাড়াই এ বছর ভালো আমের ফলন পেয়েছেন। মৌসুম শেষের পথে থাকায় বাগানে আম নেই, এ কারণে অনেক দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।