ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয় রাসায়নিকমুক্ত আমের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণ শীর্ষক আলোচনা সভা

ঢাকা: পৃথিবীতে আম উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। প্রতি বছর প্রায় ১ মিলিয়ন টন আম বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ডিসিসিআই এবং ইউএসএআইডি অ্যাগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন প্রজেক্ট (ডিএআই) যৌথভাবে রাসায়নিকমুক্ত আমের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনায় ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের উৎপাদিত আমের চাহিদা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমের চাষ বেড়েছে।

২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রায় ৩০০ টন আম রপ্তানি করেছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আমে ফরমালিনসহ ক্ষতিকারক অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহার রোধে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগ এবং এ বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর আহবান জানান। তিনি আম উৎপাদন ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সরকারের পাশপাশি দেশের কৃষি বিশেষজ্ঞ, গবেষক এবং ব্যবসায়ী সমাজকে একযোগে কাজ করারও আহবান জানান।

আলোচনা সভায় ডিসিসিআই’র প্রাক্তন সহ-সভাপতি ও ডিসিসিআই-ডিএআই প্রজেক্ট-এর টিম লিডার শোয়েব চৌধুরী বলেন, আম উৎপাদন ও পাকানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক কেমিকেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আম চাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাশ্রেণি সবাই এখন অনেক সচেতন।

তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম পাকানোর জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে চেম্বার রয়েছে, যেটি আমাদের দেশে এখনও গড়ে ওঠেনি। আম পাকানো প্রক্রিয়া উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান শোয়েব চৌধুরী।

আলোচনা সভায় কনসিগলিয়ারি প্রাইভেট লিমিটেড-এর পরিচালক শিবাজী র‍ায় আম চাষি এবং এ খাতের স্টেকহোল্ডারদের ওপর পরিচালিত গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।

সারা দেশের ১২ জন আম চাষি এবং এ খাতের ১৫০ জন স্টেকহোল্ডারদের ওপর তার গবেষণা পরিচালিত হয় বলেও জানান শিবাজী র‍ায়।

তিনি বলেন, আম পাকানোর ক্ষেত্রে ৭৫০ পিপিএম বা এর কম মাত্রায় ইথিফম ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হবে না। ক্ষতিকারক কেমিকেল ব্যবহারের কারণে ২০১৬ সালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ৫১০ মণ আম বিনষ্ট করেছে।
 
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে আম চাষিদের সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আম প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য এ খাতের উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে আহ্বান জানান শিবাজী র‍ায়।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন খান জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আম চাষি, ব্যবসায়ী এবং রপ্তানিকারকদের জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রস্তুত করেছে। আম পাকানোর ক্ষেত্রে ৭৫০ পিপিএম মাত্রায় ইথিফম ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হয় না।

ডিসিসিআই আহ্বায়ক মমিন উদ দৌলারর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাধন চন্দ্র দাস, গ্রামীণফোন লিমিটেডের বিজনেস রিলেশন বিভাগের প্রধান আজিজুল আবেদীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এএইচএম আহসান এবং বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরানুল হক পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
ওএফ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।