ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

হাড়িভাঙা’র গুণগতমান রক্ষায় এবার সাতগুণ বেশি ব্যাগিং

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৭ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
হাড়িভাঙা’র গুণগতমান রক্ষায় এবার সাতগুণ বেশি ব্যাগিং গাছে ঝুলছে হাড়িভাঙা আম

রংপুর থেকে: গুণগতমান রক্ষা ও পরিপক্কের পর ঝরেপড়া রোধে এবার রংপুরের ঐতিহ্যবাহী ‘হাড়িভাঙা’ আমের ৪৫ হাজার ব্যাগিং করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা প্রায় সাতগুণ বেশি বলে জানিয়েছে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, পোকামাকড় এবং ঝড়-বৃষ্টিতে যাতে আমের ক্ষতি না হয় সেজন্য ব্যাগিং করা হয়।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুরের উপ-পরিচালক শ ম আশরাফ বাংলানিউজকে বলেন, আমের যাতে কোয়ালিটি মেইনটেন হয় সেজন্য পেপার ব্যাগিং করা হয়।

আম পরিপক্ব হওয়ার ৪০/৪৫ দিন আগে ব্যাগিং করা হবে।
 
তিনি বলেন, এবার ৪৫ হাজার ব্যাগিং করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। গত বছর তা ছিলো ৬/৭ হাজার। ব্যাগিংয়ের জন্য কৃষকদের দলবদ্ধভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
 
চীন থেকে আমদানি করা এসব পেপার ব্যাগিং বৃষ্টির পানিতে আমের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ব্যাগের বাইরে ও ভেতরে তাপমাত্রাও স্থিতাবস্থায় থাকবে। এতে আমের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানান অধিদফতরের উপ-পরিচালক।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, মধ্য জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফুল আসার পর আম পরিপক্ক হয় জুন মাসের ২০ তারিখের পর। জুনের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করা হয়। পরিপক্ব হওয়ার ৪০/৪৫ দিন আগে ব্যাগিং করলে ক্ষতি হবে না বলে জানায় অধিদফতর।
 
কয়েক দফা ঝড়ে আম পড়লেও তা স্বাভাবিক হিসেবে জানিয়ে এ কৃষিবিদ বলেন, এখন পর্যন্ত আমের অবস্থা ভালো। বাগানের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি।
 
রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাজারে আগাম বিক্রির জন্য অপুষ্ট আম পাকানোর কাজে কোনো কোনো এলাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা কার্বাইড বা ইথিলিন ব্যবহার করেন।
 
পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা ছাড়াও এ অসাধু প্রক্রিয়া থেকে আম রক্ষায় ব্যাগিং করা হচ্ছে গত দু’তিন বছর থেকে।
 
অধিদফতরের উপ-পরিচালক শ ম আশরাফ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রংপুরে এক হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙার চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে বেশির ভাগ মিঠাপুকুর এবং বদরগঞ্জ উপজেলায়। আর কিছুটা সদর এবং মহানগর এলাকায়।

রংপুরের মেট্রোপলিটন, সদর, মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্যাপুর, কুড়িগ্রামের সদর ও রাজারহাট, লালমনিরহাটের সদর ও কালিগঞ্জ, নীলফামারীর সদর ও সৈয়দপুরে কিছু জায়গায় চাষ হয় হাড়িভাঙার।
 
হাড়িভাঙার মাতৃগাছ শতবর্ষেও ফল দেয়!
রংপুরের ঐতিহ্য সুস্বাদু আম ‘হাড়ি ভাঙা’

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।