ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

জাতীয় ফল প্রদর্শনী শুরু শুক্রবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
জাতীয় ফল প্রদর্শনী শুরু শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন

ঢাকা: ‘স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

রাজধানীর ফার্মগেটে আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটোরিয়াম চত্বরে ১৬ থেকে ১৮ জুন জাতীয় ফল প্রদর্শনী হবে। আর ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ চলবে ১৫ দিন।


 
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় ফল প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্।
 
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন বিস্তারিত তুলে ধরেন।
 
তিনি জানান, ওই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি আয়োজন করা হয়েছে। র‌্যালি শেষে সকাল ১০টায় ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ  ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হবে।
 
ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে সকাল সোয়া ১০টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে ‘খাদ্য, পুষ্টি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় দেশি ফলের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফল প্রদর্শনীতে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন ফলের পৃথক স্টল রয়েছে। উত্তরাঞ্চল, ভাওয়াল ও মধুপুর গড় অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, পাহাড়ি অঞ্চলের ফল- এসব ভাগে ফলের পসরা সাজিয়েছে মেলায় আগত স্টলগুলো।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭৫টি স্টল বসেছে প্রদর্শনীতে। মেলায় প্রায় ১৩০ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হবে।
 
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল ক্রয় করতে পারবেন। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে বিনামূল্যে ফলের চারা বিতরণ, সেমিনার, কর্মশালা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতির আয়োজন করা হয়েছে।
 
দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু ফল আবাদের জন্য খুবই উপযোগী। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩০ রকমের ফলের সন্ধান রয়েছে। তার মধ্যে প্রচলিত ও অপ্রচলিত প্রায় ৭০টি ফলের চাষাবাদ হয়।
 
‘বিবিএস কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ-২০১৫ অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩.২৩ লাখ একর জমিতে মোট ফল উৎপাদিত হয়েছে ৪৬.৯৭ লাখ মেট্রিক টন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে যা ৪৩.৬ লাখ মেট্রিক টন ছিল। এ তথ্য অনুযায়ী ফলের বার্ষিক উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৭.৭%। এ উৎপাদন বৃদ্ধির হার গত দু’বছরে আরো বেশি। ’
 
বাংলাদেশের ফল স্বাদে, গন্ধে ও বর্ণে আকর্ষণীয় এবং বৈচিত্র্যময়। ভিটামিন ও খনিজ লবণের প্রধান উৎস এবং ভেষজ বা ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ। নিয়মিত ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ সবল জীবন লাভ করা যায়।
 
সরকারের বহুমুখী উদ্যোগ এবং কৃষি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণবিদ ও ফল চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ আম উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে। আর মোট ফল উৎপাদনে বিশ্বের ২৮তম স্থানে রয়েছে।
 
বাংলাদেশে ফল চাষে বৈচিত্র্য এসেছে। বর্তমানে বাণিজ্যিক উপায়ে ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি, আঙুর, মাল্টা, কমলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মাঠে অস্থায়ীভাবে খাটো জাতের আম এবং পেয়ারা চাষ করা হচ্ছে। ভিয়েতনাম থেকে খাটো জাতের নারিকেল গ্রাম অঞ্চলের জন্য এবং ভারতের কেরালা থেকে উচ্চ ফলনশীল নারিকেল শহর অঞ্চলের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক নাগরিককে একটি করে ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।