ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মৌসুমী ফলের বাজার চড়া নাটোরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
মৌসুমী ফলের বাজার চড়া নাটোরে সুস্বাদু লাল জামরুল। ছবি: মামুনুর রশীদ

নাটোর: নাটোরের বাজারে উঠেছে হরেক রকম  মৌসুমী ফল। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু,  জামরুল, করমচা, কামরাঙ্গা ও আনারসে ভরে গেছে  পুরো শহর। এর সঙ্গে রয়েছে তরমুজ, বাঙ্গি,  তাল শাঁস, পাকা পেঁপে,  কলা আর পেয়ারাও। এগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদেশি ফল ড্রাগন উঠেছে ফল বাজারে।

এসব ফল বিক্রির জন্য শহরের প্রধান বাজারসহ ফুটপাত, অলিগলিতে  থরে থরে ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

আর এসব দেশি  ও মৌসুমী ফলের ভারে  অনেকটাই কমে গেছে বিদেশি ফলের কদর ।

ফলের মৌসুম শুরু হওয়ায় শত শত মানুষ অন্য পেশার পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েছেন মৌসুমী ফল ব্যবসায়। চাহিদার পাশাপাশি লাভ ভালো হওয়ায় এসব ব্যবসায়ী এবং কৃষক ও পাইকারি বিক্রেতারাও খুশি।

সরেজমিনে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে শহরের কয়েকটি ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভরা মৌসুমেও আমের দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি কানাইলাল ৮০ টাকা, গোপালভোগ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, খিরসা ও লেংড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত কয়েক বছর ধরে এই সময়ে এসব ফল অনেক কম দামে বিক্রি হয়ে আসছে। কামরাঙ্গা


ফলের ভরা মৌসুম হলেও জাম, পেয়ারা, জামরুল, আনারস, কলা, কামরাঙ্গা, কাঠালসহ কোনো ফলের দামই কমেনি।

বাজারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৭০ টাকা, কামরাঙ্গা ৬০ টাকা, আনারস ৯০ থেকে ১০০ টাকা জোড়া, তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, করমচা ১২০ টাকা কেজি, তাল শাস প্রতি পিস ৭/৮ টাকা, কলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে।

শহরের মসজিদ মার্কেটের পাশে ঝিলিক ফল ভান্ডারে সাবিনা ইয়াসমিন ও নাসির উদ্দিন নামের দুইজন ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, যে কোন ফল কেনার আগে সেটাতে রাসায়নিক পদার্থ আছে কিনা তা যাচাই করার চেষ্টা করেন তারা।   গাছপাকা, টাটকা এসব দেখে ফল কেনার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে ভাল মানের ফলের দাম একটু বেশী হলেও  সমস্যা নেই। আনারস

ছায়াবানী মোড়ে ফলের দোকানে আরেক ক্রেতা নাইমুর রহমান জানান,  পুরো মৌসুম শুরু হলেও ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। এমন সময় কখনো এতো দাম দেখিনি। যেহেতু ফলের মৌসুম চলছে, তাই দাম বেশী হলেও তা কিনতে হচ্ছে।

ফল ব্যবসায়ী সাদেকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, রমজান মাসে এবার দেশি ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে। কিন্তু গত বছরের চেয়ে এবার সব রকম ফলের আমদানি তুলনামূলক কম। তাই এবার ফলের দাম একটু বেশি। তারপরও ক্রেতাদের চাহিদা বেশি, বিক্রিও বেশি হচ্ছে।

অপর ফল ব্যবসায়ী বাবু জানান, ফলের বাজার ঈদের পরেই কমে যাবে। কারণ বাজারে আরো আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।