ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

কুষ্টিয়ায় বেশি দামে ধানবীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৭
কুষ্টিয়ায় বেশি দামে ধানবীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুষ্টিয়া: আমন মৌসুমে বেশিরভাগ কৃষকের ভরসা বিএডিসি’র ধানবীজ। গুণগত মান ভালো হওয়ায় এ বীজের ওপরেই আস্থা তাদের। কিন্তু সংকটের সুযোগে এসব গরিব কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বীজ ব্যবসায়ীরা। 

কৃষকদের অভিযোগ, বিএডিসি’র ধানবীজের সরকারি মূল্য বস্তাপ্রতি (১০ কেজি) ৪০০ টাকা। কিন্তু বাজারে কিনতে গেলে তাদের দিতে হচ্ছে ৬০০-৭৫০ টাকা।

চাষের জন্য বীজও কিনতেই হবে। ফলে বস্তাপ্রতি ২০০-৩৫০ টাকা বেশি দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।  

দাম বেশি হওয়ায় বিএডিসি’র মোড়ক পাল্টে ভেতরে অন্য বীজ দিয়ে ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ করছেন কৃষকরা।  


মিরপুর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের কৃষক গনজের আলী। বিএডিসি’র নির্ধারিত ৪০০ টাকা দরে বীজ কিনতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু দোকানদার দাম হাঁকান ৬০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েন তিনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে ৬০০ টাকা দরেই বীজ কিনেছেন তিনি।

গনজের আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা সাধারণ কৃষক। সরকারের কাছে ন্যায্যমূল্যে সার-বীজ কিনতে ও আমাদের ফসল বিক্রি করতে চাই’।  

কৃষক দুলাল আলী বলেন, ‘বাজারে বিএডিসি’র বীজের সংকটের কথা বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি টাকা নিচ্ছেন। আর এ বীজের ওপরে আমাদের আস্থা থাকায় বেশি দামের পাশাপাশি ভেজাল বীজও দিচ্ছেন তারা। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে’।
কৃষক হাফিজুল প্রামাণিক অভিযোগ করেন, গত দু’দিন আগেও যে বীজের দাম ছিলো ৪০০-৪৫০ টাকা, সেই বীজ এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দিনে দিনে লাগামহীনভাবে দাম বাড়ছে বীজের।  

বীজ ব্যবসায়ী টুটুল বাংলানিউজকে জানান, সংকট আর চাহিদা বেশি হওয়ায় বীজের দাম বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ ডিলারই বলছেন, সরকারি দামে বীজ নেই, তার বেশি হলে পাওয়া যাবে। এজন্য খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে।  

মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে জানান, কেউ নির্ধারিতের চেয়ে বেশি দামে বীজ বিক্রি করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবিএডিসি’র উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, জেলায় বিএডিসি’র(৪৯, ৬২, ৫২) ছাড়াও হাইব্রিড জাতের ধান বীজের কোনো সংকট নেই। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এগুলোর সংকট দেখানোর চেষ্টা করছেন।  

তিনি আরো জানান, বিএডিসি’র ধানবীজের ডিলারদের ক্রয়মূল্য ৩৫০ টাকা এবং খুচরা বিক্রয়মূল্য ৪০০ টাকা। এর বেশি দাম কেউ নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।