ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শস্য বিমায় ক্ষতিপূরণ পেলেন আরো ১৩শ’ কৃষক

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
শস্য বিমায় ক্ষতিপূরণ পেলেন আরো ১৩শ’ কৃষক

ঢাকা: সরকারি বিমা কোম্পানি সাধারণ বিমা করপোরেশনের (এসবিসি) তত্ত্বাবধানে আবহাওয়া সূচক ভিত্তিক শস্য বিমা প্রকল্পের চতুর্থ দফায় আরো একহাজার ৩৭৩ জন কৃষক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। ফলে সবমিলে ৬ হাজার ৭৭২ জন কৃষক অর্ধকোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন। এসবিসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চতুর্থ দফায় রাজশাহী, নোয়াখালী এবং সিরাজগঞ্জ এ তিন জেলায় বোরো ধানের ওপর মোট ১ হাজার ৪৩৭ জন কৃষক শস্য বিমা করেন।

এর মধ্যে ১ হাজার ৩৭৩ জন মোট ৩২ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন।

তার মধ্যে রাজশাহী এলাকার ৪৭৩ জনকে এরইমধ্যে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

আগামী শুক্রবার (২৫ আগস্ট) নোয়াখালী জেলার ৪২৬ জন কৃষককে ৩ লাখ ৭০ হাজার ১০০ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এরপর সিরাজগঞ্জের কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এতে সরকার এবার কৃষক প্রতি ৩৯০ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে।

প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর তিন দফায় আমন ধান ও আলু মৌসুমের ফসলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার ৩৯৯ জন কৃষককে ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৪ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলো এসবিসি কর্তৃপক্ষ। সরকার ও বিদেশি অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় মোট ৬ হাজার ৭৭২ জন কৃষককে ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৪ টাকা দিলো।

ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এ প্রকল্পে ১৩ হাজার ৫৪৪ জন কৃষককে ওয়েদার ইনডেক্স বেইজড ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে সচেতন করানো হয়। বিমা কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানের মোট ৯০০ জন ব্যক্তিকে প্রোগ্রাম, সভা, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়াও ২০টি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে খরা, বন্যা ইত্যাদি বিষয় মাপা হয়।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির শুরু থেকে দায়িত্ব পালন করে আসা প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং সাধারণ বিমা করপোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার মো. আমীর হোসেন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়ে। ধীরে ধীরে কৃষকরা এ বিমায় আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে প্রকল্পটি সফলতাও পেয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন ৫ দফায় পাইলটিং করার চিন্তা করা হচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, শস্য বিমা করার ফলে বন্যা-খরার পাশাপাশি অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি, ঝড়ো হাওয়া এবং রোগে নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠছেন তারা। ফলে স্থায়ীভাবে বিমা করতে সাধারণ বিমার কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষকরা।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে  সাধারণ বিমা করপোরেশন এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) সহযোগিতায় প্রকল্পটি শুরু হয়। ২১ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিলো ১২ হাজার কৃষককে সচেতন করা, ৬ হাজার কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ৪০০ কর্মকর্তাকে সচেতন করা ও ২০টি আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপন করা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।