ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বন্যায় মাটিতে জোঁ, রংপুরে টার্গেট ছাড়িয়ে যাচ্ছে আমন চাষ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
বন্যায় মাটিতে জোঁ, রংপুরে টার্গেট ছাড়িয়ে যাচ্ছে আমন চাষ বন্যায় মাটিতে জোঁ, রংপুরে টার্গেট ছাড়িয়ে যাচ্ছে আমন চাষ

রংপুর থেকে: বন্যায় আমনসহ রবি শষ্যের ক্ষতি হলেও তাতে আশার আলো দেখছেন রংপুরের ক্ষতিগ্রস্ত চাষি এবং কৃষি অফিস। বন্যায় ঘরবাড়ি ও ফসল ভাসিয়ে নিয়ে গেলে তাতে বয়ে আনা পলিতে এবার ভালো ফসল হবে। আর মাটি জোঁ থাকায় এবার উঁচু জমিতেও চাষ হচ্ছে আমন ধান।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নতুন উদ্যোমে ফসল চাষ শুরু করেছেন। বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হলেও এবার ফললও বেশি হবে।

 
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, বন্যায় ৩৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমির আমনের ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ হাজার ২২৫ হেক্টর জমির আমন। এসব জমিতে চারা রোপনের কিছু দিনের মধ্যে বন্যা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মধ্যে ১২ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে পুনঃরোপন করা হয়েছে।
বন্যায় মাটিতে জোঁ, রংপুরে টার্গেট ছাড়িয়ে যাচ্ছে আমন চাষকৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিরচালক স ম আশরাফ আলী বাংলানিউজকে বলেন, জেলার ৮০০ কৃষকের মাঝে প্রায় ৮০০ বিঘায় রোপনের জন্য আমনের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির প্রায় শতভাগের মতো চারা পুনঃরোপন করা হয়েছে। ঈদের পর ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারা রোপন চলবে। এরআগে তারা ভাসমান বীজতলায় চারা তৈরি করেন।
 
এবার এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৯ হেক্টর জমি আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এ পর্যন্ত এক লাখ ৬২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপন হয়েছে।
  
বন্যায় মাটিতে জোঁ, রংপুরে টার্গেট ছাড়িয়ে যাচ্ছে আমন চাষবন্যার পানির কারণে পলি পড়া এবং মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ফসলের টার্গেট বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবার পানি সংকটে চাষ হয় না। এবার সেই সংকট নেই। অনেকে উঁচু জায়গাতেও আমন চাষ করছেন।
 
‘মাটিতে জোঁ আছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ৩-৪ শতাংশ বেশি জমিতে আমন চাষ হবে। ’
 
কৃষি কর্মকর্তার মতোই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন একজন কৃষক।
 
বদরগঞ্জ উপজেলার বাতাসন ডাক্তারপাড়ার হানিফ মন্ডলের আট বিঘা জমির আমনের ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। তিনি আবারও নতুন করে ধানের চারা রোপন করছেন। আর পানি না বাড়লে এবার বেশ ভালো ফলনের আশা করছেন হানিফ।
 
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে এই কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, কৃষক যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তারা এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
 
তবে বন্যায় আমনের ক্ষতি হলেও রবি শষ্যের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি।
 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এসএও সাজেদুর রহমান জানান, সাত হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সব্জির চাষ ছিল। এরমধ্যে এক হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে নষ্ট হয়েছে। তবে সেগুলোর জীবনকাল শেষ পর্যায়ে ছিল। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রবি শষ্যের চাষাবাদ হবে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্ত।  
 
বন্যার পর নতুন করে রবি শষ্যের নতুন করে চাষাবাদ শুরু হয়েছে জানিয়ে স ম আশরাফ বলেন, এবার রবি ফসলের সম্ভাবনাও বেশি।   
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।