ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

নওগাঁয় বেড়েছে টার্কির মাংসের চাহিদা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
নওগাঁয় বেড়েছে টার্কির মাংসের চাহিদা পালনের পাশাপাশি বেড়েছে টার্কির মাংসের চাহিদা। ছবি: বাংলানিউজ

নওগাঁ: টার্কি পালন এখন বেশ জনপ্রিয় ও লাভজনক ব্যবসা। গত দেড় বছরের ব্যবধানে নওগাঁয় গড়ে উঠেছে ৩৫টি টার্কির খামার। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন এ বৃহৎ পাখি পরিবারের এ প্রাণীটির মাংসের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের মতে, আগামী দু’য়েক বছরের মধ্যে হাঁস, মুরগি কিংবা গরু-খাসির চেয়েও টার্কি মুরগির মাংসের চাহিদা অনেক বেশি হবে।  

জানা যায়, ব্রয়লার কিংবা দেশি যেকোনো মুরগি বা হাঁসের চেয়ে এসব টার্কির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।

তাই ওষুধ খরচ নেই বললেই চলে। পাশাপশি খাবার খরচও খুবই কম। বনের লতাপাতাই এদের প্রধান খাদ্য। এছাড়া কলমি শাক, সবুজ লতাপাতা আর মাঝেমধ্যে গমের খুদ খায় এরা। মাত্র ছয় মাসেই টার্কি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। আর একেকটির ওজন হয় ছয় কেজি পর্যন্ত।

পালশা গ্রামের টার্কি খামারি সুমি আখতার।  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমরানীনগর উপজেলার পালশা গ্রামের টার্কি খামারি সুমি আখতার বাংলানিউজকে জানান, ছয়টি টার্কি দিয়ে শুরু করা তার খামারে এখন টার্কির সংখ্যা ৫৬টি। তবে বছরজুড়ে চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও শীতের শুরুতেই এ মাংসের চাহিদা বেশ বেড়ে যায়।  

জেলার সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ীয়া এলাকার সালাউদ্দিন উজ্জ্বল নামে আরেক খামারি বাংলানিউজকে জানান, টার্কির এক কেজি মাংসের দাম ৪০০ টাকা বা তার বেশিও হয়। ওজন বেশি হওয়ায় যারা নিম্ন বা মধ্যবিত্ত তারা সাধারণত একটি কিনে অনেকে মিলে ভাগ করে নেন।  
ইনকিউবেটরে বাড়িতেই ফোটানো হয় টার্কির বাচ্চা 
তিনি আরো জানান, টার্কি পালনে খরচ কম। কিন্তু লাভ বেশ ভালোই হয়। আর নিজেদের ইনকিউবেটর যন্ত্রে বাড়িতেই ফোটানো হয় বাচ্চা।  

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, এসব পাখির মাংসে চর্বি ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম। আর নরম মাংস হওয়ায় সিদ্ধও হয় তাড়াতাড়ি।

তিনি আরও বলেন, জেলায় যেভাবে টার্কি খামার গড়ে উঠছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর মাংসের চাহিদাও। তাই এমন খামার অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এনটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।