ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

প্রস্তুত হচ্ছে গাবতলী পশুর হাট

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
প্রস্তুত হচ্ছে গাবতলী পশুর হাট হাট তৈরির কাজ চলছে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আর মাত্র কয়েক দিন বাদেই ঈদুল আজহা। পছন্দের পশু কোরবানির জন্য মানুষ যেমন প্রস্ততি নিচ্ছে তেমনি পশুর হাটও প্রস্তুত হচ্ছে। রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে চলছে এখন শেষ মুহুর্তের কাজ। রাজধানীর বড় এই হাটে ছোট-বড়, দেশি আমদানি করা গরু, উট, ভেড়া, মহিষ জাতের পশু উঠানো হয়। এবারও তাই উঠবে।

গাবতলী হাটের আয়তন অনুযায়ী ৬০ থেকে ৭০ হাজার পশু উঠানো সম্ভব। যদিও ঈদের সময় পশুর চাহিদা ও আমদানি বেড়ে যাওয়া ১ থেকে দেড় লাখ পশু হাটে উঠানো হয়।

গেট তৈরির কাজ চলছে।  ছবি: বাংলানিউজ এবছর গাবতলী হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে ৮ থেকে ৯টি হাসিল ঘর বসানো হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশ ছাড়াও হাট কর্তৃপক্ষে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে।

শনিবার (১১ আগস্ট) গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে প্রধান সড়কের পাশে মূল গেট বানানোর কাজ চলছে। এছাড়া হাটের ভেতরে গরু বাঁধার জন্য বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে শেড তৈরি করা হচ্ছে। তাছাড়া অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বাড়তি বালু রাখা হচ্ছে হাটের ভেতরে, যেন বৃষ্টি হলেও নির্বিঘ্নে মানুষ চলাচল করতে পারে।

মূল হাট ছাড়াও বর্ধিতাংশে খুঁটি দিয়ে গরু রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এখনও হাটের ভেতর শত শত ট্রাক স্ট্যান্ড করে রাখা হয়েছে। ঈদের হাট শুরু হবে এসব ট্রাক সরিয়ে বাঁধা হবে গরু। হাট তৈরির কাজ চলছে।  ছবি: বাংলানিউজগাবতলী হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের তিনদিন আগ থেকে আমাদের ঈদের হাট শুরু হবে। তবে যেহেতু এটা স্থায়ী হাট তাই সবদিনই পশু কেনা-বেচা হয়, হবে। হাটে পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার সুবিধার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরো হাট সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। তাই কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।

গাবতলী হাটের নিরাপত্তায় ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো হাটের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল করা হবে। এছাড়া প্রতিটি রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবেন পশু হাটে আনা থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত তদারকি করতে। তাছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে জাল টাকা শনাক্তা করতে বেশ কয়েকটি বুথ রাখা হচ্ছে। বিক্রেতাদের কেউ সন্দেহ পোষণ করলে সেই বুথ থেকে টাকা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। এবার হাসিল মূল্য সরকার নির্ধারিত সাড়ে তিন টাকার সঙ্গে ঈদ উপলক্ষে দেড় টাকা বেশি করে দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতি ১শ টাকার জন্য হাসিল মূল্য পাঁচ টাকা। আর প্রতি হাজারে ৫০ টাকা। হাট তৈরির কাজ চলছে।  ছবি: বাংলানিউজপ্রতিবছর ঈদুল আজহায় গাবতলী পশুর হাট বাড়ায় গাবতলী বেড়িবাঁধ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। এবার অবশ্য হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, বেড়িবাঁধের ওপর কোনো হাসিল ঘরও থাকবে না, সেখানে কোনো পশুও দাঁড় করতে দেওয়া হবে না।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ আগস্ট থেকে ঈদের হাট বসার কথা থাকলেও মূলত আগামী ১৫ আগস্ট থেকেই পশু কেনা-বেচা শুরু হবে। গাবতলী হাটের পাশাপাশি রাজধানীর ভেতর বিভিন্ন অস্থায়ী হাটেও পশু উঠতে শুরু করবে। এবছর দেশি গরুতেই চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করেন চুয়াডাঙ্গার গরু বিক্রেতা মজনু মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার যে হারে দেশি গরু আছে তাতেই দুই কোরবানির সমান গরু আছে। কেননা আমরা প্রতিবছর যে গ্রাম থেকে একটি গাড়ি গরু আনতাম সেখানে এবার ১০ গাড়ি গরু হবে। এবার অনেক লোক গরুর খামার করেছে। তাই দেশি গরুতেই চাহিদা মেটানো সম্ভব। এরপরেও যদি ভারত থেকে অবাধে গরু আসে তাহলে গেরস্তরা ধরা খাবে। আগামীতে গরু লালন-পালন কমে যাবে।

বাংলাদেশ  সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এসএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।