ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

কৃষি

পাকা ধান কাটতে দেরি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
পাকা ধান কাটতে দেরি হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা

হবিগঞ্জ: বর্তমানে হাওরে দেশীয় জাতের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষই বেশি হয়। নতুন উদ্ভাবিত এসব ধান গাছের পাতা সবুজ থাকতেই ৮০ শতাংশ ধান পেকে যায়। পরবর্তীকালে সময় নিয়ে বাকি ২০ শতাংশ পাকলেও সেগুলো পুষ্ট হয় না। আর এই ২০ শতাংশ পাকার অপেক্ষায় থাকলে আগে পেকে যাওয়া ধানও ঝড়ে পড়ে। সেজন্য ৮০ শতাংশ পাকার সঙ্গে সঙ্গেই ধান কেটে ফেলা উচিত।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, উচ্চ ফলনশীল ধানের ক্ষেত্রে গাছের পাতা লাল হয়ে গেলে সেখানে শালুক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া হয় না এবং অধিকাংশ ধানই চিটা হয়।

তাই গাছের পাতা সবুজ থাকতেই ধান কাটা উচিত। অধিকাংশ কৃষক বেশি লাভের আশায় শতভাগ থান পাকার অপেক্ষা করেন। যে কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই প্রবণতা থেকে কৃষকদের বেরিয়ে আসতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
 
এই কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, হবিগঞ্জ জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে একেবারে নিচু এলাকায় ৪৬ হাজার ৩৪০ হেক্টর।  

রোববার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত নীচু এলাকার প্রায় ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১০ হাজার ১৯৪ হেক্টর জমির ধানকাটা হয়েছে। বাকি ৭৪ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে কাটা হয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬ হাজার হেক্টর।
 
এবারো যেহেতু আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে তাই দ্রুত ধান কাটার জন্য হবিগঞ্জের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক কৃষকদের সবধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
 
জানা যায়, গত তিন বছর আগাম বন্যায় হাওর তলিয়ে গিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার করোনা ভাইরাস আতঙ্কে শ্রমিক সংকট। তার ওপর আগাম বন্যার আশঙ্কায় দ্রুত ধান কাটতে অনুরোধ জানিয়েছে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এজন্য অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে কৃষকদের মধ্যে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।