ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

কৃষি উপকরণের সহায়তা চান প্রান্তিক-কৃষক শ্যামল

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২১
কৃষি উপকরণের সহায়তা চান প্রান্তিক-কৃষক শ্যামল

মৌলভীবাজার: পৌষের শীত কেটে গিয়ে রৌদ্রের ঝলকানি। দুপুর রোদ উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়েছে বিস্তৃর্ণ হাওরে।

পানির ব্যাপকতা হ্রাস পাওয়ায় এখানকার মাটিগুলো এখন আবাদযোগ্য। পানি শুকিয়ে চাষের জন্য যতটুকু পানি দরকার ততটুকুই ধরে রেখেছে মাটি।  

সাম্প্রতিক এক দুপুরে সরেজমিন শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাওরাঞ্চল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দুপুর রোদের তীব্রতার মধ্যে এক প্রান্তিক কৃষকের ব্যস্ততা। এই এলাকার নাম উত্তর ভাড়াউড়া। নিজের জমিতে লাগানো নতুন ধানগুলোর পরিচর্যায় মুখর তিনি।  

পরিচয় চাইলে তার নাম শ্যামল রায় বলে জানান তিনি। কথাপ্রসঙ্গে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমার নিজের জমির পরিমাণ প্রায় ১৫ কিয়ার (বিঘা)। এরমধ্যে মাত্র ৮ কিয়ার (বিঘা) জমিতে চাষাবাদ করে থাকি। কোনো রকম টিকে থাকা বাবু।  

বর্তমান চাষাবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধান লাগিয়েছি। এক জমির অতিরিক্ত পানিগুলোকে পাশের জমিতে ছড়িয়ে দিচ্ছি। এগুলো বৈশাখ মাসে কাটা হবে। আগাম বৃষ্টি হলে হাওরে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই পানি জমে যায়।  

এক মাস আগের উৎপন্নকৃত রূপা-আমন ধান সম্পর্কে তিনি বলেন, রূপা-আমন ধান থেকে সব খরচ বাদে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। এবার সরকার ধানের দাম মণ প্রতি ১০০০ টাকায় করায় আমাদের মতো গরিব কৃষকদের বড়ই উপকার হয়েছে। সব কৃষক এখন নতুন করে ধান চাষ করায় মনোযোগ দিয়েছে। আগে তো ৪০০/৫০০ টাকায় মণ ছিল।

কৃষক শ্যামল বলেন, পাওয়ার ট্রিলার মেশিনের সাহায্যে কেয়ার প্রতি (বিঘা) ৪০০ টাকা মূল্যে জমি চাষ করিয়েছি। আমার একজন কামলা (শ্রমিক) রয়েছে। তার দৈনিক খরচ এক বেলা খাবার দিয়ে ৪০০ টাকা। আগে খুব অল্পপরিমাণে পেয়েছিলাম। তবে এই কয়েক বছর ধরে সরকারিভাবে কোনো প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। এখন আমার বীজ খুব দরকার।  
যদি ১৫/২০ কেজি বীজ ধান পেতাম তাহলে বড় ভালো হতো বলে জানান এই প্রান্তিক কৃষক।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের কৃষকদের জন্য আমাদের সাহায্যের হাত সব সময়ই খোলা রয়েছে। আমরা চাই সত্যিকারের কৃষকদের হাতে আমাদের কৃষি উপকরণগুলো পৌঁছে যাক। সরকারিভাবে এ ব্যাপারে নির্দেশনাও রয়েছে।  

আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে জনবল সংকট অন্যতম। এর কারণে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকের দ্বারে হয়তো যথাসময়ে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন কৃষকেরা বোরো ধান চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই শ্রমজীবী কৃষকদের মধ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের কৃষিউপকরণ সরবরাহ করে থাকি। শ্যামলসহ কোনো কৃষক যদি নিজ উদ্যোগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাহলে অবশ্যই সহযোগিতা পাবেন বলে জানান সাইফুল ইসলাম।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২১
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।