ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

‘ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের বিকল্প নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
‘ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের বিকল্প নেই’

খুলনা: ‘সরিষা চাষ বাড়ালে দাম নিয়ে সমস্যা হবে না। কৃষকরাও লাভবান হবেন।

দেশের টাকা দেশেই থাকবে। তেলের ঘাটতি পূরণের জন্য দেশে তেল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন। তাই ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের বিকল্প নেই। ’ 

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. এম এম কামরুজ্জামান উপকূলীয় এলাকায় বিএআরআই উদ্ভাবিত সরিষার বিভিন্ন জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ের ওপর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করলে দেশের কৃষিখাত বিরাট উপকৃত হবে। আমরা বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করি। এজন্য অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।

খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনর রশিদের সভাপতিত্বে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের উলা গ্রামে গোপালগঞ্জ জেলার বিএআরআই-এর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ড. হারুনর রশিদ বলেন, তেল ফসলের মধ্যে সরিষা অন্যতম। এক সময় দেশের শতভাগ মানুষ সরিষার তেল দিয়েই বিভিন্ন খাবার রান্না করে খেত। সে সময় মানুষের শরীরে নানা প্রকার অজানা রোগও কম হত। কালের বিবর্তনে গত কয়েক বছর ধরে কৃষক পর্যায়ে সরিষার আবাদ হ্রাস পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে দেশের বাজার সয়লাভ করে দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থের অপচয় করেছেন। এ কারণে দেশের কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। তাই দেশের সব মানুষের স্বাস্থ্য ও সব কৃষকের লাভজনক কৃষি উৎপাদনের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা বারি ১৪, ১৫ ও ১৮।

তিনি বলেন, বিশেষ করে বারি সরিষা ১৮-এর মধ্যে ইউরাসিক এসিডের পরিমাণ একেবারেই কম থাকায় এটি মানব দেহের জন্য খুবই উৎকৃষ্টমানের তেল। তাছাড়া অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বেশি এবং খৈলে গ্লোকোসিনুলেটর পরিমাণও ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে কম।

এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসানের পরিচালনায় মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন- বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুস্তাফা কামাল শাহাদাৎ ও মুশফিকুর রহমান, কয়রা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হারুন অর রশীদ ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সদরউদ্দীন আহমেদ, কৃষক ফজলুল সরদার, তপন মণ্ডল ও বিচিত্রা রানী। এ সময় মাঠ দিবসে দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।